আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভালোবাসার বিয়ে টিকলো না ছয় মাসও। যৌতুক নেওয়ার পরেও নিত্যদিনের পনের চাহিদা মেটাতে না পারায় নববধূকে আ'গুন লাগিয়ে পু'ড়িয়ে মা'রার অ'ভিযো'গ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বি'রু'দ্ধে। ঘ'টনার পর প'লা'তক স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির সবাই। পুলিশ জানিয়েছে, মৃ'তার নাম নম্রতা বালা(১৮)।
প্রথমে প্রেম। তারপরে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের কালীনগর এলাকার বাসিন্দা জয়দেব বালার সঙ্গে ঘর বাঁধতে বাড়ি ছেড়েছিল রাজগঞ্জ ব্লকেরই জহুরি তালমা এলাকার বাসিন্দা নম্রতা বিশ্বাস। পরে অবশ্য সামাজিক ভাবে বিয়ে দেওয়া হয় তাদের। আর সেই বিয়েতে ছেলের পরিবারের দাবি মতো সোনাদানা ও আসবাবপত্র সহ চার লক্ষ টাকার সামগ্রী দিয়েছিল কনের পরিবার। কিন্তু ভালবাসা টেকেনি।
বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে প্রতিদিন নতুন নতুন পনের দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে নম্রতার উপর অ'ত্যা'চার শুরু হয় বলে অ'ভিযো'গ। নম্রতার বাড়ির লোকজন জানান, বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রতিদিন চা'প দেওয়া হত ওকে। আমরা টাকা না দিতে পারলেই চলত ওর উপর অ'ত্যা'চার। দিনের পর দিন খেতে দিত না। ওর বর জয়দেবকে ফের অন্য জায়গায় বিয়ে দেবে বলে তার উপর মানসিক চা'প তৈরি করত।
বৃহস্পতিবার দুপুর দু'টো নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন পান নম্রতার বাবা নরেন বিশ্বাস। জানানো হয় তার মেয়ে গায়ে আ'গুন দিয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে নম্রতার বাড়ির লোকজন তার শ্বশুরবাড়িতে যান। কিন্তু গিয়ে দেখতে পান সেখানে কেউ নেই। এরপর তারা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে যান। সেখান থেকে মেয়েকে নিয়ে শিলিগুড়ির এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। সেখানেই মৃত্যু হয় নম্রতার। অ'ন্ত্যে'ষ্টি শেষ করে শুক্রবার বিকেলে রাজগঞ্জ থানায় নম্রতার স্বামীসহ পরিবারের মোট পাঁচজনের বি'রু'দ্ধে লিখিত অ'ভিযো'গ দায়ের করেন নরেন বিশ্বাস।
নরেন বিশ্বাস বলেন, সাত মাস আগে আমি চার লক্ষ টাকার যৌ'তুক সামগ্রী দিয়ে মেয়েকে বিয়ে দেই। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই শুরু হয় আরও টাকা ও বিভিন্ন জিনিসের দাবিতে ওর উপরে নি'র্যা'তন। গাড়িসহ অন্যান্য নতুন নতুন দাবি নিয়ে আমার মেয়েকে ক্র'মাগ'ত চা'প দেয় ওরা। আমি না দিতে পারায় জামাই ম'দ খেয়ে এসে প্রায় প্রতিদিন মেয়েকে মা'রধ'র করত। সঙ্গে বাড়ির অন্যান্যরাও মা'রধ'র করত তাকে। আমার মেয়ে মারা যাওয়ার আগে আমাকে বলে গেছে তাকে হাত পা বেঁধে গায়ে আ'গুন দিয়ে দেওয়া হয়।
সে চিৎ'কার করতে থাকলে বাড়ির সবাই মিলে বাইরে গিয়ে জানলা দিয়ে তাকে দেখতে থাকে। কিন্তু কেউ বাঁচাতে আসেনি। ঘটনার পর থেকেই বাড়িছাড়া অ'ভিযু'ক্ত জয়দেব ও তার বাড়ির লোকজন। তাদের ক'ঠো'র শা'স্তির দাবি জানান নম্রতার ও জয়দেবের পড়শিরাও। পুলিশ জানিয়েছে, অ'ভিযো'গের ভিত্তিতে তদ'ন্ত শুরু হয়েছে। অভিযু'ক্তদের খোঁ'জে তল্লা'শি চলছে। সূত্র : দ্য ওয়াল