মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:১৮:৩০

পাকিস্তান ও চীন ‘সৌদির আসনে’ বসাতে চায় এরদোয়ানকে

পাকিস্তান ও চীন ‘সৌদির আসনে’ বসাতে চায় এরদোয়ানকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গেল কয়েক বছর ধ'রে তী'ব্র ল'ড়াই করে যাচ্ছে তুরস্ক, এর পেছনে ইসলামি বিশ্বের নেতৃত্বে আসাটাই তাদের একটা মাত্র লক্ষ্য। আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে ফে'রানোর পরে আঙ্কারার ইউরোপীয় ইউনিয়নে অ'ন্তর্ভু'ক্ত হওয়ার আশা চু'রমা'র হয়ে গেছে। বরং আয়া সোফিয়াকে মসজিদে ফি'রিয়ে তুরস্ক ইসলামপ'ন্থীদের দিকে আরো ঝুঁ'কছে। খবর ইউরো এশিয়ান টাইমস এর।

তুরস্কের ল'ক্ষ্য বাস্তবায়নে আঙ্কারার পুরোনা মিত্র পাকিস্তান রয়েছে তার সঙ্গে। তুরস্কের পাশাপাশি বৈশ্বিক পরাশ'ক্তি চীনের সঙ্গেও ইসলামাবাদের রয়েছে শ'ক্তিশা'লী সম্পর্ক। ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত ভারতে চ'লামা'ন খে'লাফ'ত আন্দোলনের মাধ্যমে তুরস্ক-পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান সম্পর্কের সূ'ত্রপা'ত হয়। আ'ন্দো'লনের লক্ষ্যে ছিল গ্রেট ব্রিটেনের আগ্রাসন থেকে অটোমান সামরাজ্যের অ'খ'ণ্ড'তা এবং ইসলামি খে'লাফ'ত র'ক্ষা করা। পাশাপাশি স্বাধীনতা যু'দ্ধে হিন্দু-মুসলমানকে ঐ'ক্যব'দ্ধ করা উভয়ের শ'ত্রু ইংরেজ বেনিয়াদের বি'রু'দ্ধে।

১৯১৯ সালে অটোমান সামরাজ্য পুনঃপ্রতি'ষ্ঠার লক্ষ্যে খে'লাফ'ত আ'ন্দো'লন প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই আ'ন্দো'লন ব্রিটিশ সাম'রাজ্য'বাদের বিরু'দ্ধে ল'ড়া'ইয়ের আহ্বান জানায়। তাদের এ বি'দ্রো'হ ছিল উপনিবেশ ও সাম'রাজ্য'বাদের বিরু'দ্ধে। পরে ১৯২২ সালে মুস্তফা কামাল আতার্তুকের অধী'নে তুরস্ক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রূ'পা'ন্ত হয়। পরে খে'লাফ'ত আন্দোলন সা'ম্প্র'দা'য়িক বি'চ্ছি'ন্নতাবাদের পক্ষে অভিজাত সং'গঠনে পরি'ণত হয়।
তুরস্কের স্বাধীনতা যু'দ্ধে কামালপ'ন্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা। সেই সূ'ত্র ধ'রে ১৯৪৭ সালে সদ্য গঠিত পাকিস্তানের সঙ্গে চ'টজ'লদি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থা'পন করে। এক্ষেত্রে ব্যক্তি সম্প'র্কও ছিল। পাকিস্তানের স্থ'পতি মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর আঙ্কারার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফও সেই ধা'রা অ'ব্যাহ'ত রেখেছিলেন।

আন্তর্জাতিক অ'ঙ্গ'নে উভয়ে একে অপরকে অ'ব্যাহ'তভাবে সমর্থ দিয়েছে। যা এখনো চ'লমা'ন। ১৯৭৪ সালে সাই'প্রাসে আ'ক্র'মণের জন্য একমাত্র পাকিস্তান মিত্র তুরস্ককে সম'র্থন দিয়েছিল। ২০০৩ সালে তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ বলেছিলেন, নর্দান আয়ারল্যান্ড বিষয়ে আঙ্কারা যে নীতি নির্ধারণ করবে, আমরা বলছি, পাকিস্তান তাতে স'ন্দে'হাতী'তভাবে সমর্থন দেবে। আমরা শতভাগ তুরস্ককে সমর্থন করবো। প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ ও ক্ষমতায় থাকাকালীন একই বাক্যের পু'নরাবৃ'ত্তি করেছিলেন যে সাইপ্রাস ই'স্যু'তে তুরস্কের সংগ্রামে আমরা পূ'র্ণ সম'র্থন অ'ব্যাহ'ত রাখবো।

১৯৯০ সালে কারণবশত দু’পক্ষের সম্পর্কের অ'বন'তি ঘ'টে। তখন নর্দান জো'টকে সম'র্থন করে তুরস্ক। তা'লে'বানের পক্ষে অবস্থান নেয় পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও ২০০১ সালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট আহমেদ সিজার কাশ্মীর সং'ঘা'তের সময় পাকিস্তানের পক্ষে সম'র্থন ঘো'ষণা করেন।

২০০৩ সালে রিসেপ তাইপ এরদোয়ান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক। আমরা তাদের আন্তরিক সাধুবাদ জানাই। কাশ্মীর ই'স্যুতে পাকিস্তানকে পূর্ণ সমর্থন দেবে তুরস্ক। অবশ্যই সং'ক'টের দ্রু'ত সমাধান হওয়া জ'রু'রি।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান কাশ্মীর ই'স্যু'তে স'রাস'রি পাকিস্তান এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের সমর্থন দেয়ায় ভারত-তুরস্ক সম্পর্কের অ'বন'তি হয়। এর মাধ্যমে ফিনান্সিয়াল অ্যা'কশ'ন টা'স্ক ফো'র্সের সঙ্গে পাকিস্তানের চ'লা দ্ব'ন্দ্বে ইসলামাবাদকে সহা'য়তা করে আঙ্কারা। তুরস্ক এবং পাকিস্তানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সাম'রিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কও বিদ্য'মান। আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে ম'ধ্যস্থ'তারও চে'ষ্টা করেছে তুরস্ক। ৎ

এদিকে, উইঘুর ই'স্যু'তে তুরস্ক নিয়মিত জিনজিয়ানের অ'শো'ভন নী'তির জন্য চীনের স'মালো'চনা করলেও তাদের নীতিতে কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে। বলা হচ্ছে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক ক'রিডো'র এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক উন্নতির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান উইঘুর ই'স্যু'তে তার অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেন।

এসবের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক খা'রা'প হচ্ছে। অন্যদিকে সম্পর্ক জো'রদা'র হচ্ছে তুর্কি রুশ সম্পর্ক। পরিশেষে বলা যায় চীন এবং পাকিস্তানের সহায়তায় সৌদি আরবকে স'রি'য়ে ইসলামি  বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে আ'রোহ'ন করতে চান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে