রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৭:১৫:০৮

হাতের ট্যাটুতে লেখা ‘বিসমিল্লাহ’, ভারতে কা'টা হলো মুসলিম যুবকের হাত

হাতের ট্যাটুতে লেখা ‘বিসমিল্লাহ’, ভারতে কা'টা হলো মুসলিম যুবকের হাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাতে ট্যাটুতে লেখা ছিল ৭৮৬। যা দ্বারা মূলত ‘বিসমিল্লাহ’ বুঝানো হয়। এই ট্যাটুর কারণে ভারতের পানিপথে ইখলাখ সালমানি নামের এক যুবকের হাত কে'টে দিয়েছে ক'ট্টর দু'র্বৃ'ত্তরা। ইখলাখের ভাই এমন অভি'যোগ জানিয়েছেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। পূর্বপশ্চিম

ইখলাখের ভাই বলেন, ‘হাতে উ'ল্কি করে বিসমিল্লাহ লিখেছিল। কল্পনাতেও ভাবতে পারেনি, এই কারণে হাতটাই কে'টে ফেলবে ওরা। ও জাতিতে মুসলিম শুনেই ওর হাতটা কে'টে দেয় ওরা।’ ২৮ বছর বয়সী ইখলাখ পেশায় নাপিত। লকডাউনে কাজ নেই তাই গত ২৩ আগস্ট সাহারানপুর থেকে দুই চেনা ব্যক্তির সঙ্গে পানিপথে রওনা হন। ৩৩ কিলোমিটার চলার পর কৃষ্ণপুর অঞ্চলের মাথাগোজার ঠাঁ'ই না পেয়ে আশ্রয় নেন এক পার্কে। রাতের অ'ন্ধকারে তার নাম পরিচয় জানতে চায় দুই যুবক। অভি'যোগ, নাম বলতেই ব্যাপক মা'র খান তিনি। এখানেই শেষ নয়। অভি'যোগ মা'রের চো'টে দী'র্ঘক্ষণ অচৈ'তন্য থাকার পর সামনের এক বাড়িতে র'ক্তা'ক্ত অবস্থাতেই পানি চাইতে যান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে, সেই বাড়ির দরজা খোলে ওই দুই যুবকই। এবার আরেক প্র'স্থ অ'ত্যাচারের পা'লা। প্রাণভিক্ষা চেয়েও লাভ হয়নি। ইখলাখকে তু'মু'ল অ'ত্যাচার করে ওই দুই যুবক।

তাদের চোখে পড়ে ইখলাখের হাতে একটি ট্যাটুতে লেখা ৭৮৬। দেখেই ওই দুই যুবক সিদ্ধা'ন্ত নেয় তার হাত কে'টে দেওয়ার। ইখলাখকে ফেলে আসা হয় কিষাণপুর রেল স্টেশনের ধা'রে। পরদিন জ্ঞা'ন ফিরতে ইখলাখ পথচারীদের সাহায্যে বাড়িতে খবর দেন।

অভি'যোগ দা'য়ের করা হয় পানিপথের চাঁদনি বাগ স্টেশনে। ইখলাখের ভাইয়ের বক্তব্য, ‘আমার ভাইয়েক জীবনটা ধ্বং'স হয়ে গেল। ওরা আমার হাতই কা'টেনি। ওর সমস্ত স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। হয়তো কোনোদিনই আর কোনো কাজ করতে পারবে না ও। আমি এর বিচার চাই।’ তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘ'টনা'স্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর থেকে ঘ'ট'নার সত্যতা জেনেছেন তিনি।

কিন্তু কেন এত বড় ব'র্ব'রতা! অভি'যু'ক্তর বক্তব্য, তার ভাইপোকে নি'গ্রহ করছিল ইখলাখ। হাতেনাতে তাকে ধরে'ন তিনি। যদিও তার হাত কা'টেননি তিনি। ইখলাখ সত্যিই এ কাজ করেছে তার প্রমাণই বা কোথায়? মেডিক্যাল রিপো'র্ট দেখতে চাইলে ওই অভি'যুক্ত বলেন, আামার কাছে এখন নেই, পরে দেখিয়ে দেবো। তারপর থেকে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

আরও প্রশ্ন, যদি ইখলাখ এ কাজ করেই থাকেন তবে তার ব্যাপারে ত'ড়িঘ'ড়ি পুলিশে জানাননি কেন ওই ব্যক্তি? ৭ সেপ্টেম্বর পসকো ধারায় ইখলাখের বিরু'দ্ধে মা'মলা রু'জু করা হয়। কেন এতদিন সময় নিলেন তিনি? ইতিমধ্যে ঘটনার বীভ'ৎসতা নিয়ে তো'লপা'ড় চলছে ভারতে ও সামাজিক মাধ্যমে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে