বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:৪৩:৫৪

রোহিঙ্গাদের গ্রাম যেখানে ছিল সেখানে এখন সরকারি ও সেনাবাহিনীদের ভবন নির্মাণ করছে মিয়ানমার

 রোহিঙ্গাদের গ্রাম যেখানে ছিল সেখানে এখন সরকারি ও সেনাবাহিনীদের ভবন নির্মাণ করছে মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  রোহিঙ্গা গণহ'ত্যার জন্য জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারের মু'খোমু'খি হতে হয়েছে মিয়ানমারকে। অভি'যোগ রয়েছে, মিয়ানমারের বিরু'দ্ধে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নি'র্বিচারে হ'ত্যা, ধ'র্ষণ এবং তাদের আবাসস্থল ধ্বং'স করা হয়েছে।

রাখাইনসহ সীমা'ন্ত অঞ্চলকে আবার অশা'ন্ত করে তুলছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। যা এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত ক্ষ'তিকর বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় বি'দ্রোহীদের হা'মলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভি'যান। সেই সাথে শুরু হয় বাংলাদেশ সীমা'ন্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢ'ল।

প্রায় এগারো লাখের মতো রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁ'চাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের কথায় উঠে আসে নির্বিচারে হ'ত্যা, ধ'র্ষণ, গণধর্ষ'ণ, জ্বা'লাও-পো'ড়াওয়ের ভ'য়াবহ বিবরণ। যাকে জাতিগত নির্মূ'ল অভি'যান বলে জাতিসঙ্ঘ। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের গ্রাম যেখানে ছিল সেখানে এখন সরকারি এবং সেনাবাহিনীদের জন্য ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সেখানে পুলিশের ঘাঁ'টিও তৈরি করেছে মিয়ানমার সরকার।

উখিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সদস্য সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, নির্যা'তনের মু'খে বাংলাদেশে পা'লিয়ে আসা মিয়ানমারের ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যও হু'মকিস্বরূপ। শুধু মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের প্রাণ বাঁ'চিয়েছেন।

২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বি'তাড়নের পরে রাখাইনে আরাকানিদের বিরু'দ্ধে অপা'রেশন শুরু করেছে মিয়ানমার বাহিনী। গত কয়েক মাসে অন্তত ২০টি গ্রাম জ্বা'লিয়ে দিয়েছে তারা। এক লাখেরও বেশি আরাকানি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গৃহহা'রা হয়েছে।

মিয়ানমারে আগামী নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ পরিস্থি'তিতে রাখাইন অশা'ন্ত হলে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলো এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরেও সমস্যা আরো প্রক'ট হবে।

এ বিষয়ে প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির মহাসচিব এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এই অঞ্চলকে অস্থি'তিশীল করে তুলছে। এর ফলে পাশের দেশগুলো ক্ষতিগ্র'স্ত হবে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে এখন গণতন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বং'সলীলা চা'লানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন দ'মন-পী'ড়ন করে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকে তারা বলপূর্বক বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে সেখানে শূন্যস্থান দ'খল করে আরাকানিরা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে