মঙ্গলবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:২০:২৩

ধ'র্ষকদের য'মদূত ছিলেন ফুলন দেবী, এক সত্যিকারের রবিনহুডের গল্প

ধ'র্ষকদের য'মদূত ছিলেন ফুলন দেবী, এক সত্যিকারের রবিনহুডের গল্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নারী নি'র্যা'তন ও ব'র্ণবা'দের বি'রু'দ্ধে আজ পর্যন্ত এই পৃথিবীতে যে কয়কেজন যু'দ্ধ করে বিজয়ী হতে পেরেছেন, তাদের তালিকায় বেশ ওপরের দিকে থাকবে ফুলন দেবীর নাম। ভারতীয় আইনের চোখে তিনি স'ন্ত্রা'সী, নিচু জাতের মা'ল্লাদের কাছে তিনি ত্রা'ণক'র্তা। কাউকে বিন্দুমাত্র পরো'য়া না করে তিনি নিজেই লিখেছেন নিজের জীবনের ব'দলে যাওয়ার গল্প। 

ত'থাক'থিত ভদ্র সমাজের চোখে কিংবা সমাজের উচ্চবর্ণের কাছে তাদের ভাষায় 'ম্লেচ্ছ' এই ফুলন দেবী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের বি'রু'দ্ধে সং'গ্রাম জা'রি রেখেছিলেন। তাইতো আজ থেকে ১৯ বছর আগে দিল্লিতে নিজ বাসভবনের সামনে তাকে গু'লি করে মে'রে ফেলাটা প্রভা'বশা'লীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।

১৯৬৩ সালের ১০ আগস্ট ধ'রণীতে অবতরণ করেছিলেন ফুলন দেবী। ভারতের উত্তর প্রদেশের ছোট্ট একটি গ্রাম ঘুরা কা পুরয়াতে থাকতেন তার বাবা–মা। মেয়ে হিসেবে জন্ম নেয়াই যেন মাল্লা সম্প্রদায়ের এই মেয়েটির আজন্ম পা'প। বাবা-মায়ের ঘাড়ের বোঝা হিসেবেই বিবেচনা করা হতো নিচু জাতের মেয়েদের। নিম্নবর্ণের মাল্লা সম্প্রদায়ের প্রধান পেশা হচ্ছে নৌকা চালানো। মাল্লা বলতে মাঝিদের বোঝানো হয়। 

মাঝির ঘরের আদরের কন্যা ফুলের দেবী ফুলন আর তার ছোট বোনের বিয়ের জন্য এক একর জায়গাজুড়ে নিমের বাগান করেছিলেন তাদের বাবা। জামাইয়ের মনমতো যৌতুক না দিলে মেয়েরা ভালো থাকবে কেন? কিন্তু ফুলনের বাবার সেই সম্বলটুকুতেও বা'গড়া বা'ধায় তারই আপন বড় ভাই। সব সম্পত্তি নিজের বলে ঘোষণা দিয়ে ছেলে মায়াদিনকে দিয়ে বাগানের গাছ কে'টে বি'ক্রি করা শুরু করে দেয়।

ছোটবেলা থেকেই জ্ব'ল'ন্ত আ'গ্নে'য়গি'রির মতো ফু'টতে থাকা ফুলন এর ঘো'র বিরো'ধি'তা শুরু করে। মায়াদিনকে সে জনস'ম্মুখে চো'র সাব্য'স্ত করে। এর প্র'তিশো'ধস্ব'রূপ, ৩০ বছর বয়সী পুট্টিলাল নামক এক লোকের সঙ্গে মাত্র ১১ বছর বয়সী ফুলনের বিয়ে ঠিক করে মায়াদিন। ফুলন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, পুট্টিলাল একজন অ'সৎ চরিত্রের লোক। শ্বশুরবাড়িতে শিশু ফুলনের সঙ্গে জো'রপূ'র্বক শারী'রিক সম্পর্ক স্থাপন এবং নি'র্যা'তন চলত নিয়মিত। 

বাবার বাড়িতে ফিরে গেলেও সমাজের দিকে চেয়ে ফুলনের পরিবার তাকে আবার শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসে। অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় ফুলন এবার মুখের ওপর প্র'তিবা'দ জানিয়ে স্থায়ীভাবে চলে আসে বাবার বাড়িতে। মাল্লা সমাজে স্বামী পরিত্যা'গ করা নারীকে চরি'ত্রহী'না বলে কুন'জরে দেখা হতো। কাজেই ফুলনকে নিয়ে একের পর এক কুৎ'সা র'টতে থাকে গ্রামময়। সেসব কথায় কান না দিয়ে পিতার সম্পত্তি র'ক্ষার জন্য ল'ড়া'ই শুরু করেন ফুলন দেবী। 

কিন্তু মায়াদিন তাকে উ'ল্টো ফাঁ'সিয়ে দিয়ে ১৯৭৯ সালে চু'রির অ'ভিযো'গে পুলিশের হাতে সো'পর্দ করে। তিন দিন কারা'বাসের সা'জা হয় ফুলনের। এই তিন দিন ধ'রে পুলিশের কাছে প্রথমবারের মতো গ'ণধ'র্ষণের শি'কার হয় সে। সেই অ'পরা'ধীদের কোনো শা'স্তি না দিয়ে বরং কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকেই পরিবার ও গ্রাম থেকে ব'র্জ'ন করা হয়! মালা সেনের লেখা 'ইন্ডিয়া'স ব্যান্ডিট কুইন: দ্য ট্রু স্টোরি অফ ফুলন দেবী' বইয়ে লেখা আছে, গ্রাম থেকে নির্বা'সিত হওয়ার পর স্থানীয় ডাকুরা তাকে অ'পহ'রণ করে।

আবার কেউ কেউ বলেন, ডাকাতদলে যোগ দেয়ার জন্যই নাকি তিনি প্রথম স্বামীকে প'রিত্যা'গ করেন। সে যাই হোক, ডাকাতদলে শুরু হয় ফুলন দেবীর নতুন জীবন। ফুলন দেবী যে ডাকা'তদলের সদস্য ছিলেন তাদের নেতার নাম বাবু গুজ্জর। নি'ষ্ঠু'র এই ডাকাতের চোখ পড়ে ফুলনের ওপর। বাবুর কাছে প্রায় কয়েক দফা ধ'র্ষি'ত হওয়ার পর তাকে র'ক্ষা করতে এগিয়ে আসে দলের দ্বিতীয় নেতা বিক্রম মাল্লা। 

স্বজাতির ওপর বাবু গুজ্জরের এই নি'র্ম'মতার প্র'তিবা'দে তিনি বাবুকে খু'ন করে নিজেকে দলের নেতা ঘোষণা করেন। নিষ্ঠাবান ডা'কা'ত লু'ণ্ঠি'ত সম্পত্তি দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ চালু করেন। বিক্রমের প্রেমে পড়ে যায় ফুলন। ভালোবেসে দুজন দুজনকে স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদায় গ্রহণ করেন। তাদের বিয়ের পর বিক্রমকে সঙ্গে নিয়ে ফুলন তার প্রথম স্বামী পুট্টিলালের গ্রামে গিয়ে জনসমক্ষে গাধার পিঠে উ'ল্টো করে বসিয়ে গ্রামের আরেক প্রান্তে নিয়ে এসে মা'রধ'র করে।

কোনো বয়স্ক পুরুষ যেন অল্পবয়সী কোনো মেয়েকে বিয়ে করে তার সাথে যেমন নি'র্যা'তন করা হয়েছিল তেমনটা না করতে পারে, তার জন্য একটি হুঁ'শিয়ার বাণীস্ব'রূপ পত্রসমেত পুট্টিলালকে প্রায় আ'ধম'রা অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে আসে তারা। স্বামী বিক্রম মাল্লার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব'ন্দু'ক চালানো, গ্রাম লু'ণ্ঠ'ন, ভূ'স্বা'মীদের অ'পহ'র'ণ, রেল ডা'কা'তি প্রভৃতি কাজে বেশ পারদ'র্শী হয়ে ওঠেন ফুলন। প্রত্যেকবার ডা'কা'তি করে আসার পর দুর্গাদেবীর মন্দিরে গিয়ে প্রাণ র'ক্ষার জন্য দেবীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসতেন ফুলন। 

এদিকে প্রকৃতপক্ষে বিক্রমদের দলের প্রধান ছিল শ্রীরাম নামক এক ঠাকুর সম্প্রদায়ের ডা'কা'ত। সে সময় ঠাকুরদের সঙ্গে মাল্লাদের ব্যবধান এতটাই বেশি ছিল যে, তারা এক জায়গায় পানির পাত্রও রাখতে পারতো না। শ্রীরাম ও তার ভাই লালারাম জে'লহাজতে ব'ন্দি থাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ করে তাদের জামিন করায় বি'ক্র'ম। দলের নেতৃত্বও তাদের হাতে তুলে দিতে চায় সে। কিন্তু নিচু সম্প্রদায়ের ডা'কা'তরা জানত, শ্রীরাম আসলে ঠাকুর আর পুলিশদের গু'প্তচর। কাজেই তারা কেউ শ্রীরামের নেতৃত্ব মানতে চায়নি।

ফলস্বরূপ, ডা'কা'তদল মাল্লা ও ঠাকুর দুটি পৃথকদলে বি'ভ'ক্ত হয়ে পড়ে। দলের মধ্যে এই বি'ভা'জন মানতে পারেনি শ্রীরাম। যার কারণে তার প্রধান শ'ত্রু বনে যায় বিক্রম। পরপর দু'বার চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে পথের কাঁ'টা দূর করে ফুলনকে অ'পহ'রণ করে তারা। কানপুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তর প্রদেশের একটি গ্রাম বেহমাই। এই গ্রামের একটি ঘ'ট'নাই ফুলন দেবীকে ভ'য়ং'কর ডা'কাতে পরিণত করেছে, দ'স্যুরা'নী হিসেবে যে পরিচয় তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বহন করেছেন, তার সূ'ত্রপা'ত ঘ'টে এখানে।

অ'পহ'রণের পর ফুলন দেবীকে বেহমাই গ্রামে নিয়ে এসে প্রায় উ'ল'ঙ্গ করে পুরো গ্রামবাসীর সামনে হাজির করে শ্রীরাম। বিক্রমের হ'ত্যাকারী দাবি করে তার ওপর অ'ত্যা'চার করার নি'র্দে'শ দেয়া হয় গ্রামবাসীদের। প্রথমে শ্রীরাম, এরপর একে একে ঠাকুর সম্প্রদায়ের বহুলোক প্রায় ২৩ দিন ধ'রে তার উপরে পা'শ'বিক নি'র্যা'তন চালায়। গ'ণধ'র্ষণের একপর্যায়ে তাকে মৃ'ত ভেবে ফেলে দিয়ে যায় মানুষরূ'পী প'শুর দল। কোনোমতে একটি গরুর গাড়িতে উঠে বে'হমা'ই থেকে পালিয়ে আসে ফুলন।

অবশ্য একটি বি'স্ম'য়কর ব্যাপার হলো, ফুলন দেবী নিজমুখে কখনো এই গ'ণধ'র্ষ'ণের কথা সরাসরি স্বী'কার করেননি। তার আত্মজীবনীর লেখিকা মালা সেনকে বলেছেন, ''ওরা আমার সঙ্গে অনেক অ'ন্যা'য়-অ'ত্যা'চা'র করেছে।'' এই একটি লাইনকেই অবশ্য ফুলন দেবীর সার্বিক অবস্থার প্রতীকীরূপ বলে বিবেচনা করা যায়। তবে ধ'রে নেয়া যায়, বাইরে থেকে যতই দু'র্ধ'র্ষ মনে হোক না কেন, লোকল'জ্জার ভ'য়কে দ'স্যুরাণী নিজেও উপেক্ষা করতে পারেনি। 

স্থানীয়রা এই ঘ'টনার সত্য'তা নি'শ্চি'ত করেছেন। তবে ধ'র্ষ'ণের শি'কার অন্যান্য নারীদের মতো চু'প করে বসে থাকেনি ফুলন। নিজের অ'পমা'নের প্র'তিশো'ধ নিতে তৎ'পর হয়ে ওঠে। বিক্রমের এক বন্ধু, মান সিংহ, খবর পায় ফুলনের। তার সাহায্যে মুসলিম এক ডাকুসর্দার বাবা মুস্তাকিমের কাছে পৌঁছায় সে। বাবা মুস্তাকিমের সাহায্যে মান সিংহ আর ফুলন মিলে গড়ে তোলে নতুন একটি ডাকাতদল। নি'র্যা'তিত হওয়ার প্রায় ১৭ মাস পর, ১৯৮১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, শ্রীরাম আর লালারামের খোঁ'জ পায় ফুলন। 

তাদের হ'ত্যা করতে এক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার উপর নি'র্যা'তন চালানো দুই ঠাকুরকে চিনতে পারে সে। ক্রো'ধে অন্ধ হয়ে সেখানে উপস্থিত ২২ ঠাকুরকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে গু'লি করে মে'রে ফেলে ফুলন। ইতিহাসে এই ঘটনা ''বেহ'মাই হ'ত্যাকা'ণ্ড'' বা ''বেহমাই গণহ'ত্যা'' নামে কু'খ্যা'ত। এতে বেশকিছু নি'রী'হ ঠাকুর মা'রা যাওয়ায় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভি.পি.সিং প'দত্যা'গ করতে বা'ধ্য হন। ধী'রে ধী'রে লোকের কাছে ''দ'স্যুরাণী ফুলনদেবী'' শব্দযুগল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

মায়াবিনী এই ডাকু স'র্দারের সমস্ত ক্ষো'ভ কেবল ঠাকুরদের প্রতি, মাল্লাদের মতো নিচু সম্প্রদায় যেন তার ঘরের লোক। শহরগুলোতে তাই দুর্গার বেশে ফুলনের মূর্তির বে'চাকে'না শুরু হয়ে যায়। এ যেন সত্যিকারের এক রবিনহুডের গল্প। তবে এত বড় হ'ত্যাকা'ণ্ড ঘ'টিয়ে খুব সহজে ছাড় পায়নি ফুলন দেবী। ৪৮টি অ'পরা'ধক'র্মের জন্য, যার মধ্যে ৩০টি ডা'কা'তি এবং অ'পহ'রণের অ'ভিযো'গ, প্রায় দু'বছর পুলিশকে না'স্তা'নাবু'দ করে অবশেষে কিছু শ'র্তসাপেক্ষে পুলিশে কাছে ধ'রা দেয় ফুলন দেবী। শ'র্তগুলো ছিল:

ফুলন ও তার অন্যান্য সঙ্গীরা কেবল মধ্যপ্রদেশে আ'ত্মসম'র্পণ করবে, বিচারের জন্য তাদের উত্তরপ্রদেশে নেওয়া যাবে না। তাদের ফাঁ'সি দেয়া যাবে না এবং ৮ বছরের বেশি সময় কা'রাবাস হবে না। মায়াদিন কর্তৃক অবৈ'ধভাবে দ'খল করা জমি ফুলনের পিতাকে ফেরত দিতে হবে। ফুলনের পিতা-মাতাকে মধ্যপ্রদেশে পাঠিয়ে দিতে হবে এবং সরকার ফুলনের ভাইকে চাকরি দেয়ার নি'শ্চ'য়তা প্রদান করবে।

ফুলনের সব কয়টি শ'র্ত মেনে নেয় সরকার। তবে ৮ বছরের ব'দলে তাকে ১১ বছর কারাবাস করতে হয়। বেহমাই হ'ত্যাকা'ণ্ডের প্রায় দু'বছর পর ১৯৮৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৮ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে আ'ত্মসম'র্পণ করে ফুলন দেবী। ১৯৯৪ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে জন্ম নেয় এক নতুন ফুলন। ১৯৯৬ সালে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ফুলনকে মির্জাপুর আসনে নির্বাচন করার জন্য বাছাই করে। রাজনৈতিক জগতে ফুলনের গুরু ছিলেন এই দলেরই নেতা মুলায়ম সিং যাদব। 

ভারতীয় জনতা পার্টি ও বেহমাই হ'ত্যাকা'ণ্ডে নিহ'ত ঠাকুরের স্ত্রীদের ঘো'র আ'প'ত্তি থাকা সত্ত্বেও সেবার নির্বাচনে জয়লাভ করে ফুলন। ১৯৯৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হে'রে গেলেও, ১৯৯৯ সালের মির্জাপুর লোকসভা নির্বাচনে ফের তার আসন দ'খ'ল করে একসময়ের দো'র্দ'ণ্ড প্রতা'পশা'লী দ'স্যুরানী। মধ্য প্রদেশের জঙ্গল ছেড়ে অশোকা রোডের ঝাঁ চকচকে বাড়িতে গড়ে তোলে তার নতুন ঠিকানা।

জীবন বদলে গেলেও পেছনে ফেলে আসা দিনগুলো তাকে তাড়া করে ফেরে প্রতিনিয়ত। তার ব্যাপারে যে কারো কারো যথে'ষ্ট ক্ষো'ভ রয়েছে, এ কথা তিনি নিজেও জানতেন। তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইন্দিরা জয়সিং জানান, ''ফুলন সবসময় জানত অতীত তাকে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছে। একজন নারী হয়ে পিতৃত'ন্ত্রকে চ্যালে'ঞ্জ করার জন্য অনেকের চোখেই জনমভর সে একজন অ'পরা'ধী বৈ আর কিছুই নয়। এ কারণেই সে সবসময় পুলিশি নিরা'পত্তা নিয়ে চলাফেরা করত।''

কিন্তু শেষ র'ক্ষা হয়নি ২০০১ সনের ২৫ জুলাই তারিখে নতুন দিল্লিতে ফুলন দেবীকে হ'ত্যা করা হয়। তার দেহর'ক্ষীও আহ'ত হয়। সেই সময়ে তিনি সংসদ থেকে বের হয়ে আসছিলেন। হ'ত্যাকারীরা তাকে গু'লি করে অটোরিকশায় উঠে পা'লিয়ে যায়। হ'ত্যাকারীরা ছিলেন শ্বের সিং রাণা, ধীরাজ রাণা ও রাজবীর। শ্বের সিং রাণা দেরাদুনে আ'ত্মসম'র্পণ করেন। হ'ত্যাকারীরা প্রকা'শ করেন যে বেহমাই হ'ত্যাকা'ণ্ডের প্র'তিশো'ধ নেওয়ার জন্য এই হ'ত্যা করা হয়েছে। এভাবেই পরিসমা'প্তি ঘ'টে চি'রবিদ্রো'হী এক নারীর ঘ'টনাবহুল জীবনের।

তার জীবনী নিয়ে ১৯৯৮ সালে শেখর কাপুর পরিচালনা করেন 'ব্যান্ডিট কুইন' নামের একটি চলচ্চিত্র। এখানে ফুলনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সীমা বিশ্বাস। এর আগে ১৯৮৫ সালে অশোক রায়ের পরিচালনায় বাংলায় 'ফুলন দেবী' নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। আর মালা সেন রচিত তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ তো রয়েছেই। শারীরিক মৃ'ত্যু হলেও ফুলন দেবীর মতো নারীরা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন নারী হলেও নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই ব'দলে দিতে জানেন, নিজের পরিচয় নিজেই গড়ে নিতেন জানেন। সূত্র: রোয়ার বাংলা/ ইন্ডিয়া টাইমস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে