শুক্রবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:১০:৩৮

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পাচ্ছেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পাচ্ছেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে যাচ্ছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। ইতোমধ্যে তার ঝুলিতে ৭ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৫০২ ভোটারের সমর্থন পড়েছে। সম্পূর্ণ ফলাফল প্রাপ্তির পর এ সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।

এদিকে ১৯০৮ সালের পর ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার অংশ নিয়েছেন। ওই বছর মোট ভোটারের ৬৫ শতাংশ ভোট দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু এবার ভোট দিয়েছেন ৬৭ শতাংশ ভোটার। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

‘ইউএস ইলেকশন প্রজেক্ট’ প্রাথমিক পরিসংখ্যানে বলা হয়, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন বারাক ওবামা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫১৬ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৬ কোটির বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। ১২০ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে এত মার্কিন নাগরিক ভোট দেননি। এবার ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ১৯০০ সালের পর সর্বোচ্চ। ওই বছর ৭৩ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ইউএস ইলেকশন প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা এক টুইটে বলেন, ১২০ বছরের মধ্যে ২০২০ সালেই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। এখনও বেশ কিছু ভোট গণনা বাকি। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন ২৬৪ ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। এতে তিনি ৭ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৫০২ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন।

অপরদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। এতে তিনি ৬ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার ৭৩২ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। গণনা বন্ধ করুন -ট্রাম্পের টুইট : পেনসিলভানিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ ‘ব্যালেটগ্রাউন্ডে’ এগিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান কমছে জো বাইডেনের। বলা হচ্ছে, বাইডেন ডাকযোগের ভোট বেশি পাচ্ছেন। আরও কয়েকটি রাজ্যেও একই অবস্থা। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প এক টুইটে ভোট গণনা বন্ধ করতে বলেছেন।

পেনসিলভানিয়ায় এখনও অনেক পোস্টাল ভোট গণনা বাকি আছে এবং সেগুলোর বড় অংশ বাইডেনের পক্ষে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ রাজ্যে ২০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট থাকায় জয়-পরাজয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ওই ভোট পেতে মরিয়া ট্রাম্প। শুরুর দিকের ফলাফলে মনে হচ্ছিল গতবারের মতো এবারও এখানে ট্রাম্পই জিতবেন। কিন্তু পোস্টাল ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর ব্যবধান কমতে শুরু করায় তিনি ক্ষেপেছেন। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, গণনা বন্ধ করুন।

আরেক ব্যাটলগ্রাউন্ড জর্জিয়ার একটি এলাকায় ভোট গণনা স্থগিতের দাবিতে মামলা করেছে ট্রাম্পের প্রচার শিবির। তাদের অভিযোগ, সেখানে নির্ধারিত সময়ের পর পৌঁছানো পোস্টাল ভোটও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। ভোট গণনা নিয়ে কয়েকটি রাজ্যে উত্তেজনা, বিক্ষোভ ও ভাংচুরের খবরও পাওয়া গেছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে