শুক্রবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২০, ১১:০২:৫০

বাইডেনের এমন সাফল্যের পেছনে একজন নারী

বাইডেনের এমন সাফল্যের পেছনে একজন নারী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত পাওয়া ৪৫ রাজ্যের ভোটে ইলেকটোরাল কলেজের মধ্যে ২৬৪টি পেয়েছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ভোট। ২৭০-এর সেই ‘ম্যাজিক ফিগার’ থেকে আর মাত্র ছয়টি ইলেকটোরাল দূরে আছেন বাইডেন।

এদিকে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এখনো ভোট গণনা চলছে। ভোট গণনার শুরুতে এ রাজ্যটিতে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও শেষদিকে হাজার ভোটের ব্যবধানে বাইডেন এগিয়ে রয়েছে। আর বাইডেনের এমন সাফল্যের পেছনে একজন নারী রয়েছেন। তার নাম স্টাচি আব্রাম। ডেমোক্র্যাটরা মনে করেন, জর্জিয়ায় সাফল্যের জন্য ওই নারী কৃতত্ব পেতে পারেন

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে আব্রাম দাবি করে আসছেন, এই রাজ্যটি যুদ্ধক্ষেত্র হতে পারে। ২০১৮ সালে গভর্নর হিসেবে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর তিনি ভোটার দমনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও বিভিন্ন বর্ণের লোকদের ভোটার নিবন্ধন বৃদ্ধির জন্য একটি অলাভজনক সংস্থা গঠন করেন। ডেমোক্র্যাটরা রাজ্যে এ পর্যন্ত ফলাফলের জন্য তার প্রচেষ্টাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যে পাঁচ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শুক্রবার মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ভোট গণনা এখনো বাকি আছে।

এ রাজ্যে ভোট পড়েছে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ১৯১টি। তার মধ্যে ৯৯ শতাংশ ভোট ইতোমধ্যে গণনা করা হয়েছে। শতাংশের হিসাবে দু'জনেই এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ করে ভোট। 

জর্জিয়া রাজ্যে ভোট গণনায় জো বাইডেন এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ৯০০ ভোটে এগিয়ে গেছেন। আর মাত্র কয়েক হাজার ভোট গণনা বাকি আছে। জর্জিয়ার ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। এই রাজ্য বাইডেনের পক্ষে গেলে তার থলিতে ২৬৯টি (২৫৩+১৬) ইলেকটোরাল ভোট আসবে, অর্থাৎ চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য মাত্র একটি বাকি থাকবে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট।

জর্জিয়ায় বাইডেনের বিজয় ডেমোক্র্যাট পার্টির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হবে। এই রাজ্য ১৯৬৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত চার বার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছে, শেষ বার ছিল ১৯৯২ সালে যখন বিল ক্লিনটন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ছিলেন। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে