আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপনের ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তৃতা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে। কেন? এদিন সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল মুখপাত্র ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপনে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। তাকে অপমান করা হয়েছে।
পরে দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ভাই কবে ডাকল, কখন ডাকল? বিজেপি যা বলবে শুনতে হবে? আমার তো একটা অফিস রয়েছে।' মমতা ব্যানার্জী জানান, আমি ২৮ তারিখ বোলপুরে যাচ্ছি। সে দিন আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিল(বিশ্বভারতীর উপাচার্য)। কিন্তু আমি বলেছি, মাত্র দেড় দিনের জন্য যাচ্ছি, তার মধ্যে পাঁচটা প্রোগ্রাম দেওয়া রয়েছে। আমি সময় দিতে পারিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবশ্য একটি আমন্ত্রণ পত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেটির সত্যতা নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ডিসেম্বর ৪ তারিখের ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে এদিনের অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদিন শতবর্ষ উদযাপনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই প্রথম আত্মনির্ভর ভারতের মন্ত্র দিয়েছিলেন। তা ছাড়া সংকীর্ণ প্রাদেশিকতার উর্ধ্বে উঠে গোটা বিশ্বকে আপন করে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে মমতা এদিন সকালে একটি টুইট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ''বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও''। কবিগুরুর সেই গানটি উদ্ধৃত করে মমতা আরও লিখেছেন, 'বিশ্বভারতীর একশ বছর হল। এই শিক্ষার মন্দির আদর্শ মানুষ তৈরির লক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবথেকে বড় গবেষণার ফসল। আমার উচিত এই মহান দার্শনিকের দর্শন ও চিন্তাকে সংরক্ষিত রাখা।'