আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে নেপালে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে চীন। চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলটি রোববার সকালে কাঠমান্ডুতে পা দেন। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একজন উপমন্ত্রী। নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে চীনের রাষ্ট্রদূত হু-ইয়াঙ্কি তাদের স্বাগত জানান। তবে এ সময় নেপালের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
এদিকে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নেপালের রাজনৈতিক নেতারা। তারই অংশ হিসেবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নতুন অধিবেশনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার এক সপ্তাহের মাথায় শনিবার অধিবেশনের দিন ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী। নতুন বছরের প্রথম দিনেই ওই অধিবেশন বসবে বলে জানান তিনি। নেপালে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারি গত রোববার দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে রাজনৈতিক সংকটে পড়ে নেপাল। একই সঙ্গে বিদ্যাদেবী ভান্ডারি ঘোষণা দেন, নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক বছর আগে দেশটিতে আগামী ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে দুই দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নেপালের ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) মধ্যে বিরোধের জেরে পার্লামেন্ট ভেঙে আগাম নির্বাচন ঘোষণার মতো পদক্ষেপ আসে।
শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। অন্য পক্ষে আছেন এনসিপির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল। শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) দুই প্রধান নেতা পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড ও কেপি শর্মা ওলির মধ্যে ঠোকাঠুকি লেগেই ছিল গত এক বছর। গত কয়েক মাসে এনসিপির অধিকাংশ নেতার সমর্থন হারান কে পি শর্মা অলি। সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট