মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৪:৩৪:১৭

পাকিস্তানে প্রতি বছর হাজারের বেশি ভিনধর্মী কিশোরীকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়!

পাকিস্তানে প্রতি বছর হাজারের বেশি ভিনধর্মী কিশোরীকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উগ্রবাদ মদত দেওয়া থেকে শুরু করে সংখ্যালঘু নির্যাতন। পাশবিক ও অমানবিকতার নির্দশন তৈরিতে পৃথিবীর অন্য দেশগুলির থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। প্রতি মুহূর্তেই পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর কিছু না কিছু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর হাজারের বেশি ভিনধর্মী কিশোরীকে জোর করে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে। 

গত মাসে আমেরিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের তরফে ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিকার থেকে নাগরিকদের বঞ্চিত করার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়েছিল। তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য ভর্ৎসনা করা হয়েছিল। পাকিস্তানে হিন্দু, খ্রিস্টান ও শিখ সম্প্রদায়ের মেয়েদের অপহরণ ও ধর্ষণ করার পর তাদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ-সহ এই বিষয়ে একাধিক ঘটনার কথা আমেরিকার মন্ত্রনালয়কে জানিয়েছে সেদেশের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ক কমিশন। 

তার ভিত্তিতে পাকিস্তানের সমালোচনা করেছিল মার্কিন প্রশাসন। চলতি বছরের জুন মাসে ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক দুনিয়ার একটি নামী পত্রিকা দ্য স্পেক্টাটর সম্প্রতি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে পাকিস্তানের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকেই হাতিয়ার করেছিল তারা। আর তার ভিত্তিতে উল্লেখ করেছে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী একজন নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার বিষয়ে একটি রাষ্ট্রের যে কর্তব্য হওয়া উচিত। 

পাকিস্তান তাতে গুরুত্ব দেয় না। কোনও নির্দেশই সেখানে মানা হয় না। পাকিস্তানে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর প্রচুর খ্রিস্টান ও হিন্দু মেয়েকে অপহরণের পরে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয় না ইমরানের প্রশাসন। পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতারাও আড়াল থেকে উসকানি দিয়ে অমুসলিম নাগরিকদের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। 

গত সপ্তাহেই চার জন হিন্দু ও তিনজন খ্রিস্টান মেয়ে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিকার থেকে নাগরিকদের বঞ্চিত ও পাশবিক-অমানবিকতার নির্দশন করার জন্য পাকিস্তানকে সবাই দোষারোপ করছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী একজন নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার বিষয়ে একটি রাষ্ট্রের যে কর্তব্য হওয়া উচিত। পাকিস্তান তাতে গুরুত্ব দেয় না। এই বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয় না পাকিস্তান প্রশাসন। সূত্র : সংবাদ মাধ্যম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে