বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২১, ০৮:০৮:০০

সিনেট ভবনে তাণ্ডব চালানো বিক্ষোভকারীদের 'দেশপ্রেমিক' বললেন ট্রাম্প-কন্যা

সিনেট ভবনে তাণ্ডব চালানো বিক্ষোভকারীদের 'দেশপ্রেমিক' বললেন ট্রাম্প-কন্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল (সিনেট) ভবনে যারা হামলা-তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের দেশপ্রেমিক বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন নির্বাচনে বাজিমাত করার পর জো বাইডেনকে জয়ের প্রশংসাপত্র দিতে বুধবার (৬ জানুয়ারি) শুরু হয় মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। আর তা নিয়েই শুরু হয় ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডব। নির্বাচনে পরাজিত হলেও ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সমর্থকদের পথে নেমে এই 'কারচুপি' ভরা নির্বাচনের প্রতিবাদ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। ট্রাম্প সমর্থকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে তখন পরিস্থিতি সামল দেওয়ার জন্য পুলিশ গুলি ছুড়লে চারজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। 

আরও কয়েক জনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েক জন সমর্থকও। এই পরিস্থিতিতে ইভাঙ্কা ট্রাম্প টুইটে লেখেন, ''আমেরিকার দেশপ্রেমিকরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙা এবং পুলিশ প্রশাসনকে অশ্রদ্ধা গ্রহণযোগ্য নয়। সহিংসতা এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন।''

টুইটটি নিয়ে প্রতিবাদ, কটাক্ষ শুরু হতেই তা মুছে দেন ট্রাম্প-কন্যা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক সাংবাদিক সেই স্ক্রিনশট তুলে ইভাঙ্কাকে প্রশ্ন করেন, ''পরিষ্কার করে জানতে চাইছি, এই লোকগুলোকে আপনি দেশপ্রেমিক বলছেন?'' এর উত্তরে ইভাঙ্কা বলেন, ''না, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকেই দেশপ্রেম বলছি। সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়।''

ওয়াশিংটন ডিসিতে চলা তাণ্ডবের কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গ ছেড়েছেন অনেক রিপাবলিকান। হোয়াইট হাউসে একের পর এক পদত্যাগপত্রও জমা পড়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইট করে বলেছেন, ''আমেরিকা কংগ্রেসের ইতিহাসে এটা একটা লজ্জাজনক ঘটনা।'' প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ এই ঘটনাকে 'হৃদয়বিদারক এবং ঘৃণ্য' বলে মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, হিংসার পর ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার ও ফেসবুক।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে