 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দ্রুত বালোচ আন্দোলন দমন করতে চাইছে চীন। সেই উদ্দেশে ইতিমধ্যে পাক সেনাকর্তাকে সেই এলাকায় মোতায়েন করেছে বেইজিং। যেনতেন প্রকারেণ আন্দোলন দমন করতে মরিয়া তারা। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন পাক মেজর জেনারেল আয়মান বিলাল। বিলালকে মোটা টাকার বিনিময়ে বালুচিস্তান এলাকায় মোতায়েন করেছে বেইজিং প্রশাসন। বালোচ আন্দোলন দমন করতে তাকে ছ'মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পাক মেজর জেনারেল আয়মান বিলাল জানিয়েছেন, ''বালোচ আন্দোলনকে গোড়া থেকে নির্মূল করতে আমাকে এখানে মোতায়েন করেছে বেজিং। ছ'মাস সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।'' এই স্বীকারোক্তি সামনে আসার পরই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, চীনের মদতেই পাকিস্তানে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এবার কার্যত তা মেনে নিলেন পাক সেনা কর্তা।
উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই স্বাধীনতার দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশ। বিভিন্ন সময় সেখান নাশকতামূলক ঘটনাও ঘটেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, দেশের সরকারে বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছে এই প্রদেশের নেতারা। এরই মাঝে পাকিস্তানে তৈরি হচ্ছে বেইজিংয়ের স্বপ্নের সিপিইসি করিডোর। যার একটা বড় অংশ রয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশে। তাই বেইজিং সর্বদা ভয়ে ভয়ে রয়েছে। বালোচ আন্দোলনকারীরা যদি নাশকতামূলক কার্যকলাপ ঘটায়। এমন আবহে এই আন্দোলনকেই উপড়ে ফেলতে চাইছে চীন সরকার। তাদের সেই ষড়যন্ত্র এবার প্রকাশ্যে এসে গেল।
প্রসঙ্গত, ইমরানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল দ্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি রিসার্চ সার্ভিস নামে আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন। বালুচিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর তারা যে অকথ্য অত্যাচার করছে তার তীব্র প্রতিবাদ করল। আর এই বিষয়ে ইউরোপের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ওই সংগঠনটি হাতিয়ার করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের একটি রিপোর্টকে।