বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১১:৫৩:২৫

মমতার কর্মিসভায় অনুপস্থিত মিমি, দেবশ্রী, প্রতিমারা, বিজেপি যোগের তীব্র জল্পনা!

মমতার কর্মিসভায় অনুপস্থিত মিমি, দেবশ্রী, প্রতিমারা, বিজেপি যোগের তীব্র জল্পনা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এবং তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জী রয়েছেন এক মঞ্চে। উপলক্ষ দলের কর্মিসভা। বৃহস্পতিবার পৈলানে এই কর্মিসভাটি হয়। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী বা অভিষেক কোনো কর্মসূচিতে থাকলে সেখানে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট জেলার সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের। এটাই অলিখিত দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু এদিন সেখানে তাল কাটতে দেখা গেল। 

দেখা গেল বিধায়ক ও সাংসদ মিলিয়ে বেশ কয়েকজন অনুপস্থিত রয়েছেন সেখানে। যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়, রায়দিঘির বিধায়ক অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মন্ডলরা এদিনের কর্মসূচিতে সামিল হননি, এদিন আসতে পারেননি রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাও। জানা গিয়েছে তিনি অসুস্থ। তাই আসতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরে তৃণমূলে ভাঙন চলছে।

সম্প্রতি চিত্রতারকা যশ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যশের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নুসরাত জাহান তৃণমূলের সাংসদ কিন্তু বুধবার থেকেই নুসরাত এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা অপর তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে দলবদল করার ব্যাপারে। যদিও এ বিষয়ে তাদের কারোর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে মমতার কর্মসূচিতে তারা হাজির না হওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে জেলা রাজনীতিতে।

যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, ব্যক্তিগত কাজের জন্য মিমি বাইরে রয়েছেন। তাই তিনি আসতে পারেননি। অসুস্থতার জন্য আসেননি জীবন, আর বাড়িতে বড় সমস্যায় আটকে গিয়েছেন প্রতিমা। এদিকে দেবশ্রী কেন আসেননি সে ব্যাপারে তার কাছে কোনো সদুত্তর ছিল না। তিনি বলেন, দেবশ্রীকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

যারা আসেননি সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানেই প্রশ্ন, কেন অবস্থান স্পষ্ট করার কথা বলা হচ্ছে রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রীকে? তবে কি তিনি দল ছাড়তে চলেছেন সেটা বুঝে গিয়েছেন নেতৃত্ব? উল্লেখ্য একটা সময় বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই কারণে তাকে দিল্লি যেতে দেখা যায়। কিন্তু ওই একই দিনে দিল্লিতে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোনা যায় তাদের প্রবল আপত্তিতে দেবশ্রীকে দলে নেননি বিজেপি নেতৃত্ব। 

অর্থাত্‍ সেদিন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় দেবশ্রীর। যদিও পরে দেবশ্রী বলেছিলেন তিনি একটি এনজিও'র সঙ্গে যুক্ত। সেই সংক্রান্ত কাজের জন্যই তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে চিড়ে ভেজেনি। অর্থাত্‍ এটা পরিষ্কার বৃহস্পতিবার মমতার কর্মিসভায় এত জন বিধায়ক, সাংসদ অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্ন উঠছেই। যদিও কর্মিসভার মঞ্চ থেকে বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে কোনো মন্তব্য করতে শোনা যায়নি। কিন্তু তাতে জল্পনা বন্ধ হয়নি রাজনৈতিক মহলে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে