শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১, ০৪:৩৬:১৮

তৃণমূলকে ঘায়েল করতে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি

তৃণমূলকে ঘায়েল করতে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করছে বিজেপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। ভাষা, সংস্কৃতি, আবহাওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক স্লোগান, উত্তেজনা প্রায় সবটাতেই মিল রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। বরাবরই ভারতের বাংলা ভাষাভাষী রাজ্যটির স্থানীয় স্তরের নির্বাচনে বাংলাদেশ ইস্যু থাকে। তবে এবার তৃণমূলকে ঘায়েল করতে নেতিবাচকভাবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে বিজেপি। 

আর তা নিয়ে কলকাতার সুশীল সমাজ ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষও। তিস্তার পানির অধিকার না পাওয়া, সীমান্তে নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যার মতো অনেক ইস্যুতে ভারত নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে রয়েছে কষ্ট। তবুও বাংলাদেশের মানুষ সব ভুলে নানা কারণে ভারতের কলকাতায় নিজের শহরের মতোই ঘুরে বেড়ান; শহরের মানুষকেও ভাবেন আপনজন। কিন্তু এবারের ভোটে বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে সামনে আনা হচ্ছে। 

পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল থেকে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সভাপতি দিলীপ ঘোষের ফেসবুক পোস্ট এমনকি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিরোধী সুর। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতার সুশীল সমাজ। যদিও তৃণমূল বলছে, বিজেপির কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না। 

প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ ড. পবিত্র সরকার বলেন, যা হচ্ছে তাকে অত্যন্ত অনুচিত এবং অন্যায় প্রচার বলে আমি মনে করি। লেখক ও প্রকাশক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সময় কিছু 'ভোট পাখি' যারা দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করার জন্যে কিছু কথাবার্তা বলেন। এগুলো মোটেও ঠিক নয়। পৌর ও নগর উন্নয়মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বাংলাদেশ একটি দেশ আর আমরা একটা প্রদেশ। এটা নিয়ে যারা এমন কথা বলেন তারা অন্যায় করেন এবং পাপ করেন।'

অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের প্রবণতা বন্ধ করতে প্রশাসনিক উদ্যোগ নিতে হবে। নাহলে সামনে আরো বড় সংকট তৈরি হবে। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার বর্গ কিলোমিটার। এ ধরনের প্রপাগান্ডা দুই দেশের দীর্ঘ কুটনৈতিক সম্পর্ককে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে