আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোরে সেহরি খাওয়ার জন্য ঘুম ভাঙাতে মুসলিম মহল্লায় ঘুরবেন রুদ্রেন্দু পাল, বীরবল গিরি, অরুণ রায়, অসিতরঞ্জন জোয়ারদার, সুরজিৎ অধিকারীরা। ঘুম ভাঙাতে ওরা গাইবেন গজল। আর এ জন্য মহল্লার জুম্মান, রাকিবুল, মফিজুল, রমজানদের থেকে সকাল-সন্ধ্যে গজলের গান শিখছেন। আসন্ন রমজান মাসে এমন কিছুর সাক্ষী রাখতে বন্দর এলাকার নাদিয়ালে জোরেসোরে চলেছে প্রস্তুতি।
আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে রমজান মাস। রমজান শেষে খুশির ইদ। মুসলিমদের বড় উৎসব। চার দিকে মেরুকরণের হাওয়ায় দুই সম্প্রদায়ের মিলনক্ষেত্র হিসেবে বরাবরই নজির গড়েছে বন্দর এলাকার গঙ্গা পাড়ের নাদিয়াল। করোনাকালের রমজান মাসেও সেই ছবিই দেখা যাবে। সারা দিনের রোজা ভাঙতে সন্ধ্যায় ফুটপাতবাসী মুসলমানদের শরবত, ফল, তেলেভাজার ব্যবস্থা করছেন নাদিয়াল থানার উদ্যোগে তৈরি ‘পিস কমিটি’র হিন্দু ভাইয়েরা।
গত বছর লকডাউনের সময়ে ইদুজ্জোহা, মহরম, দুর্গাপুজোয় সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিল নাদিয়াল। হিন্দু সদস্যেরা ইদুজ্জোহায় এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সে বার মোড়ে মোড়ে মোটরবাইক নিয়ে টহল দিয়েছিলেন। আবার দুর্গাপুজোয় মণ্ডপ তৈরি এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা হিন্দুদের পঞ্চমীর দিন থেকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন পাড়ার মুসলমান ভাইয়েরা।