আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে চলেছেন। তিনি গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন গুঁড়িয়ে দেয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। ইসরাইলি হামলায় ২৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো বেশি। ঘরবাড়ি বিপুলসংখ্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল যে কারণে এসব হামলা চালাচ্ছে, তা হাসিল করতে পারছে না। হামাসের শীর্ষ কমান্ডাররা এখনো ইসরাইল হামলা থেকে রক্ষা পেয়ে তাদের বাহিনী পরিচালনা করে যাচ্ছেন, ইসরাইলে হামলা চালনা অব্যাহত রেখেছেন।
ইসরাইল এবারো সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে হামাসের কাসাম বিগ্রেডের কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফকে (৫৫) হত্যা করার। তার ওপর এর মধ্যেই কয়েকবার হামলা হয়েছে। কিন্তু তিনি অক্ষত আছেন বলেই এখন স্বীকার করছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
অবশ্য, ইসরাইল আরো অনেক আগে থেকেই তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী তার ওপর ২০০১, ২০০২, ২০০৬, ২০১৪ সালেও হামলা চালিয়েছিল। এতে তার একটি চোখ, উভয় পা ও একটি হাত উড়ে গেছে। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিহত হয়েছে। কিন্তু তিনি রক্ষা পেয়ে গেছেন।
এবারের ইসরাইলি বাহিনীর আরেক টার্গেট হলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি হলেন গাজায় হামাসের নেতা। তার বাড়ি বোমায় উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না।
তবে দেইফকে টার্গেট করার কথা হামাস অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ইসরাইল তাকে হত্যার যে কথা বলছে, তা আসলে 'মনোস্তাত্ত্বিক যুদ্ধকৌশল।' হামাসের সামরিক নেতৃত্বের সাথে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, দেইফ এখনো পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা চলছে। ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, মিসর, নরওয়ে, তিউনেশিয়া, জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার জন্য ইসরাইলকে অনুরোধ করে যাচ্ছে। কিন্তু বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি নন।
ইসরাইল বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংসের দিকে জোর দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, হামাসের সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার জন্য গত রাতে ৫২টি জেট ২৫ মিনিট ধরে ১২২টি বোমা ফেলে। আজ আরো বেশি গোলা বিনিময় হয়েছে। গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। লেবানন থেকেও রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইল উভয় স্থানেই গোলা বর্ষণ করেছে।
এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ফিলিস্তিনি ২১৯ জন, শিশু ও নারী প্রায় ১০০ জনসহ। ইসরাইলে নিহত হয়েছে দুটি শিশুসহ ১২ জন।