মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর কঠো'র অভি'যানের মুখে দেশটির হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ঢু'কে পড়ছে। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে ভারত সরকারকে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে ভারতের মিজোরাম, মনিপুর এবং নাগাল্যান্ডে আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১৬ হাজারের মতো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এসব অঞ্চলে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরামের টিয়াও নদীর তীরবর্তী ঘন বনাঞ্চলে। এসব শরণার্থীদের মাঝে গণতন্ত্রপন্থী যো'দ্ধারাও রয়েছেন।
এসব শরণার্থী ও যো'দ্ধাদের গতিবিধির ওপর গভীর দৃষ্টি রাখছে ভারত প্রশাসন। তাদের নিয়'ন্ত্রণে না রাখতে পারলে অঞ্চলগুলো মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের বিশাল ঘাঁ'টিতে পরিণত হতে পারে বলে আশ'ঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। যো'দ্ধারা মিজোরামের গভীর বনে শিবির বানিয়ে প্রশিক্ষণ নেবে বলেও শ'ঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
ভারতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের যো'দ্ধাদের বিষয়ে মিজোরামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, স্বাভাবিকভাবেই এসব মানুষ দেশটির জা'ন্তার বিরুদ্ধে ল'ড়াই করতে চায়। আমার মতে তারা ভারত থেকে অ'স্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করবে।
এসব দিক বিবেচনা করে মিয়ানমারের শরণার্থীদের আ'শ্রয় নেওয়া ওই অঞ্চলগুলো অস্থি'তিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে আশ'ঙ্কায় রয়েছে ভারত সরকার। বিশেষ করে এসব সীমা'ন্তে সক্রি'য় দুই ডজনের বেশি বি'দ্রো'হী গো'ষ্ঠী পরিস্থি'তির সুযোগ নিতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ভারতের সরকারি একটি সূত্র বলছে, এটি আসলেই উদ্বে'গজনক যে, যদি বি'দ্রো'হীরা সীমা'ন্ত পেরিয়ে ঢু'কে পড়ে, তাহলে তারা নাগা এবং মনিপুরের বি'দ্রো'হীদের আন্দো'লনের আগুনে ঘী ঢা'লবে।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ই-মেইল এবং এসএমএস পাঠায় রয়টার্স। তবে এখনও উপযুক্ত জবাব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তথ্যসূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স