রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১, ০৯:০৪:৩৮

মাত্র ১০০ দিনে! যেভাবে শুরু, যেভাবে শেষ

মাত্র ১০০ দিনে! যেভাবে শুরু, যেভাবে শেষ

গত মে মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরাতে শুরু করে ন্যাটো। প্রাথমিকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয় ৯ হাজার ৬০০ সেনা, তার মধ্যে ২ হাজার ৫০০ জন আমেরিকার সেনা ছিলেন। তারপরেই হেলমন্দ প্রদেশে আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে লড়াই শুরু করে তালেবান।

মে মাসের ৮ তারিখে কাবুলে এক ভয়ানক বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৮৫ জনের। বেশির ভাগই স্কুলপড়ুয়া। চলতি বছরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানায় আফগান প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই বিস্ফোরণের মাধ্যমেই আফগানিস্তান দখল শুরু করে তালেবান।

মে মাসের মাঝামাঝি কান্দাহার থেকেও সেনা তুলে নিতে শুরু করে আমেরিকা। কাবুলের কাছে ওয়ার্দাক জেলা দখল করে নেয় তালেবান। এরপর জুন মাসের মাঝামাঝি উত্তরের একের পর এক প্রদেশ আফগান প্রশাসনের হাত থেকে বেদখল হতে শুরু করে।

জুলাই মাসের ২ তারিখে ন্যাটো সেনা তুলে নেয় বাগরাম প্রদেশ থেকে। আফগানিস্তানের এই বৃহত্তম বিমানসেনা ঘাঁটি থেকে সেনা সরে যাওয়ার দুই দিনের মাথায় পাঞ্জাওয়াই জেলা দখল করে নেয় তালেবান। জুলাই মাসের ৯ তারিখে তালেবান ঘোষণা করে, ইরান সীমান্তের ইসলামকালা দখলে এসেছে তাদের।

১৪ জুলাই পাকিস্তান সীমান্তে স্পাইন বোল্ডাক এলাকা দখল করে তালেবান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরেই তালেবান আফগানিস্তানের প্রধান শহরগুলো দখলের দিকে নজর দেয়। সেই তালিকায় ছিল কান্দাহর, লস্কর গাহ, হেরাট ও কাবুলের নাম।

আগস্ট মাসের ৩ তারিখে কাবুলে আফগান সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও একাধিক সাংসদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ১১ আগস্ট উত্তরের মাজার-এ-শরিফ শহরে যান আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। কিন্তু সেদিনই কুন্দুজ প্রদেশে শয়ে-শয়ে আফগান সেনা আত্মসমর্পণ করেন। পতন হয় সে দেশের নবম প্রদেশের।

আগস্ট মাসের ১২ তারিখে কাবুল থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গজনি প্রদেশ দখল করে নেয় তালেবান। একই দিনে পতন হয় হেরাটের। পরের দিন, ১৩োাগস্ট তালেবানের দখলে চলে যায় দক্ষিণের প্রদেশ কান্দাহর ও লস্কর গাহ। 

১৪ অগস্ট, শনিবার তালিবানের দখলে যায় মাজার-এ-শরিফ। তিন দিন আগেই এই প্রদেশে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। পতনের সঙ্গে সঙ্গেই কাবুলের খুব কাছে এসে পড়ে তালেবান।

আজ ১৫ আগস্ট সকালে জালালাবাদ শহর দখল করে তালেবান। তারপর একমাত্র পড়ে থাকে আফগান রাজধানী কাবুল। ইতোমধ্যে ২৬ প্রদেশ দখলে রয়েছে বলে দাবি করা হয় তালেবানের তরফ থেকে। রবিবার দুপুরের পর থেকে খবর আসতে থাকে, কাবুলের মুখে দাঁড়িয়ে আছে তালেবান। শেষ শহরটিও দখল করে তালেবান।

এরপর খবর আসে অপ্রতিরোধ্য তালেবানের কাবুলে প্রবেশের পর আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি আফগানিস্তান ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তাজিকিস্তানে চলে গেছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে