আফগানিস্তানে আবারও তালেবান শাসন শুরু হতে যাচ্ছে। এর আগে কাবুলের বিভিন্ন দেয়াল থেকে নারীদের ছবি মুছে ফেলা হচ্ছে। গতকাল রবিবার আফগানিস্তানের টেলিভিশন স্টেশন টোলো নিউজের প্রধান লুৎফুল্লাহ নাজাফিজাদা এরকম একটি ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক লোক কাবুলের একটি দেয়াল থেকে পণ্যের বিজ্ঞাপন হিসেবে থাকা নারীদের ছবি মুছে ফেলতে চুনকাম করছেন।
তালেবান যোদ্ধারা রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশে করে। রক্তপাত এড়াতে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির সরকার এখন তালেবানের হাতে ‘শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের’ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে অন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ কাবুল ছাড়ার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে যাওয়ার আশায় অনেকেই ভিড় করেছেন সীমান্তে।
দুই দশক পর তালেবান ফিরে আসায় সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত তরুণ নারীরা, যারা এতদিন শিক্ষা, চাকরি এমনকি রাজনীতি করার এবং তুলনামূলকভাবে স্বাধীন জীবনের সুযোগ পেয়েছেন।
গতকাল সকালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা এক টুইটে তুলে ধরেছেন জাতিসংঘের সাবেক ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর আয়েশা খুররম। তিনি লিখেছেন, সকালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার সময় অনেক শিক্ষক তাদের ছাত্রীদের ‘বিদায়’ জানিয়েছেন।
গত ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবানি শাসনামলে আফগানিস্তানে নারীদের মুখ, চুলসহ সম্পূর্ণ দেহ ঢাকা বোরখা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। তালেবানের একজন মুখপাত্র অবশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নারীর অধিকার আর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি তাদের যোদ্ধারা ‘সম্মান’ দেখাবে। তবে বাস্তবে তা হচ্ছে না বলেই খবর আসছে।