কার্যত আফগানিস্তানের পুরোটাই এখন তালেবানদের দখলে। যে যেভাবে পারে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে আফগানিস্তান ছেড়ে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। সংবাদমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশটির প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল করে নেয় তালেবান।
এর আগে রাজধানী কাবুল চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তালেবান যোদ্ধারা। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় কাবুল থেকে ১২৯ যাত্রী নিয়ে দিল্লিতে উড়াল দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমান।
প্রাণে বেঁচে দিল্লিতে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়লেন এক আফগান তরুণী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, বিশ্বাস করতে পারছি না, দুনিয়ার সব দেশ আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে। তালেবানরা আমাদের, আমাদের বন্ধুদের মেরে ফেলবে। মেয়েদের কোনও অধিকারই আর থাকবে না।
কথাগুলো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই তরুণী।
কাবুল থেকে রবিবার সন্ধ্যায় যারাই দিল্লি পৌঁছেছেন তারাই গভীর আশঙ্কার কথা শোনালেন। আবদুল্লাহ মাসুদি নামে এক বিবিএ শিক্ষার্থী সংবাদসংস্থাকে বলেন, তালেবান কাবুলে ঢুকছে শুনেই মানুষজন এয়ারপোর্টে ব্যাপক ভিড় করছে। কোনও হামলার ঘটনা আমার চোখে পড়েনি কিন্তু হামলা হবে না এটা বলা যাচ্ছে না। আগে থেকেই এই বিমানের টিকিট কাটা ছিল। আমার পরিবার এখনও কাবুলেই আছে। বহু লোক আতঙ্কে কাবুল ছেড়ে চলে গিয়েছে।
আফগান সরকারের পরামর্শদাতা রিজওয়ানউল্লাহ আহমেদজাইও দিল্লি গেছেন কাবুল থেকে। তিনি বলেন, দেশটির অধিকাংশ মন্ত্রী কাবুল ছেড়ে পালিয়েছেন। প্রায় ২০০ জন দিল্লি চলে এসেছেন। আমার মনে হয় এরা নতুন তালেবান। এরা হয়তো মেয়েদের কাজ করার অনুমতি দিতে পারে।