বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১, ০৪:০৭:৪৬

কাবুল বিমানবন্দরে যে দৃশ্য দেখে কাঁদল মার্কিন সেনারা! মহিলারা কাঁদতে কাঁদতে...

কাবুল বিমানবন্দরে যে দৃশ্য দেখে কাঁদল মার্কিন সেনারা! মহিলারা কাঁদতে কাঁদতে...

এতো তাড়াতাড়ি আর সহজে পুরো আফগানিস্তান তালেবানের দখলে চলে যাবে তা ভাবতেও অবাক লাগছে খোদ মার্কিন সরকারের কাছে। 
শেষমেষ কাবুল বিমানবন্দর দখলে নিতেও খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তালেবানদের।

একদিকে মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনা। অন্যদিকে অসহায় আফগান নাগরিক। মাঝে কাঁটাতারের বেড়া। কাবুল বিমানবন্দরে ঢোকার সুযোগ নেই বুঝেও অন্তত সন্তানকে তালিবানের হাত থেকে বাঁচাতে মরিয়া অভিভাবকরা। আর তাই ঝুঁকি নিয়ে কাঁটাতারের ওপারে ছুঁড়ে দিচ্ছেন সন্তানকে। সঙ্গে অনুরোধ, সেনারা যেন লুফে নেন তাদের। আর তুলে দেন অন্য় বিমানে। এমনই মর্মস্পর্শী সব দৃশ্য নিয়মিত রচিত হয়ে চলেছে কাবুল বিমানবন্দরে। যা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না সেনাকর্মীরাও।

‘স্কাই নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, প্রতিদিন অসংখ্য অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে বিমানবন্দরে মোতায়েন সেনাকে। বিমানবন্দরের সামনে উপচে পড়ছে ভিড়। তালিবানের হাত থেকে সন্তানদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে কাঁটাতারের দিকে তাদের ছুঁড়ে দিচ্ছেন অভিভাবকরা। অনেক সময় কাঁটাতারে ঝুলতে দেখা যাচ্ছে ছোট শিশুদের দেহ! এক সিনিয়র ব্রিটিশ সেনা আধিকারিক জানাচ্ছেন, তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা রাতে শোওয়ার পরও চোখের সামনে ভেসে মানুষের করুণ আর্তির ছবি। চোখে জল ধরে রাখা মুশকিল সেই সব দৃশ্য দেখে। তাঁর কথায়, ”কী ভয়ংকর! মহিলারা নিজেদের সন্তানকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন বেপরোয়া ভাবে। কাঁটাতারের বেড়ার এপারে থাকা সেনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন, তাদের লুফে নিতে।”

গোটা কাবুল বিমানবন্দরই যেন এখন এক বিষাদনগরী। সর্বত্র হাহাকার ও দেশ ছাড়তে না পারার আক্ষেপ। মহিলারা কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ”আমাদের সাহায্য করুন। তালিবান আসছে।” তাঁদের আকুতি ও হাহাকারের দৃশ্য যেন বর্তমান আফগানিস্তানের মর্মান্তিক পরিস্থিতির এক চূড়ান্ত প্রতীকী ছবি।

গত শনিবার রাজধানী কাবুলে বন্যার জলের মতো ঢুকে পড়ে তালিবান। প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তারপর থেকেই গোটা দেশে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন দেশবাসী। নিজেদের পক্ষে দেশ ছাড়া সম্ভব নয় বুঝেও সন্তানকে ‘দুধেভাতে’ রাখার অলীক স্বপ্নে তাদের ছুঁড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন কাঁটাতারের ওপারে। এই অলীক স্বপ্নই এখন আফগানিস্তানের ঘোর বাস্তব।-সংবাদ প্রতিদিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে