যখন আফগানিস্তানে ক্ষমতার মসনদে তালেবানরা বসতে যাচ্ছে ঠিক তখনই তাদের উপর চাপ প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার আহবান জানাল বেইজিং।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এসব কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি বলেন, বেশি চাপ সৃষ্টি না করে বরং ইতিবাচক দিকে পরিচালিত হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আফগানিস্তানকে উৎসাহী করে তোলা উচিত। এ ধরনের মনোভাব আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে বলে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আফগান তালেবান গোষ্ঠী পুরো দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার পর তাদের শাসন পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে পাশ্চাত্যের গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিশেষভাবে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং তারা তালেবানের সম্ভাব্য উগ্র কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে জোরালো সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে- তারা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায় এবং দেশে পরিপূর্ণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোন আলাপে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভূ-‘রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে আফগানিস্তানকে ব্যবহার করা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরত থাকা উচিত। এর পরিবর্তে বরং দেশটির স্বাধীনতা এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখানো দরকার।
একই দিনে তালেবানের মুখপাত্র সোহেল শাহিন চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সিজিটিএন টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এশিয়ার ক্ষমতাধর রাষ্ট্র চীন অবদান রাখতে পারে।
সূত্র : পার্সটুডে