খুব দ্রুত আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা দখল করতে পারলেও এখন একটি এলাকা কব্জায় নিতে পারেনি তারা। পঞ্জশির প্রদেশ দখল তো দূরের কথা, সেখানে গিয়ে আবারো পিছু হটতে হয়েছে তাদের। আর তাই নতুন উদ্যমে পঞ্জশির দখলের ডাক দিল তালিবানরা। ওই উপত্যকা দখলে নতুন করে আরও ‘যোদ্ধা’ পাঠাচ্ছে তালিবরা।
পঞ্জশির উপত্যকা নিয়ে তালিবান যে ঘোষণা করেছে বলে একাধিক সংবাদসংস্থায় জানানো হয়েছে, তা শুনে এমনই বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামিদিনে আরও রক্তাক্ত হতে চলেছে আফগানিস্তান। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্জশির উপত্যকা দখল করতে ‘শয়ে শয়ে যোদ্ধাদের পাঠাচ্ছে তালিবান। এছাড়া তালিবানের আরবিক টুইটার হ্যান্ডেলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইসলামিক এমিরেটের শয়ে শয়ে মুজাহিদ্দিন পঞ্জশির দখলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে প্রদেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে না চাওয়ার কারণেই এই পদক্ষেপ।” জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ইতিমধ্যে গুলির লড়াইও হচ্ছে। আর তাতে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে তালিবরা। এদিকে, সেইসঙ্গে আফগানিস্তানে সরকার গঠনের তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছে।
পঞ্জশির চিরদিনই তালিবানদের শক্ত গাঁট হিসাবে থেকে গিয়েছে। এর আগে ৯৬-এ যখন গোটা আফগানিস্তান প্রায় তালিবানদের দখলে, তখনও পঞ্জশিরে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছিল স্থানীয় নেতা তথা ভারতের বন্ধু আহমেদ শাহ মাসুদের বাহিনী। ২০০১ সালে আল-কায়দা জঙ্গিদের হাতে খুন হতে হয় আহমেদ শাহ মাসুদকে । কিন্তু তারপরও পঞ্জশির দখল করতে পারেনি তালিবানরা। উলটে, মার্কিন সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানকে তালিবান মুক্ত করার কাজে হাত লাগিয়েছিল আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের বাহিনী। সেই মাসুদের বাহিনীই ফের আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তালিবানদের রুখে দিয়েছেন।
এবারও আফগানিস্তানের প্রায় ৯৮ শতাংশ দখল করে ফেললেও পঞ্জশিরে ফের আটকে গেল জঙ্গিরা। কাবুলে ঢুকে পড়লেও রাজধানী থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের এই প্রদেশ এখনও তালিবান মুক্ত। অন্যদিকে, আফগানিস্তানের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার জি-৭-এর জরুরি বৈঠক ডাকলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।