আফগানিস্তানের প্রায় পুরো অঞ্চল এখন তালেবানের দখলে। আর ইদানিং কাবুল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। তালেবানের অঘোষিত শাসন শুরু হয়েছে বলা চলে। এরপর থেকেই দেশটিতে নানা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। দেশ ছেড়ে যেতে কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার মানুষ। তালেবানের পক্ষ থেকে বিদেশি সেনাদের ইতিমধ্যেই ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশ ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতা দখলের পর তালেবান ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইসলামী শরিয়া মোতাবেক দেশ পরিচালনা করবে। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেছেন, তালেবান আমলে আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক নয়। বাইরে বের হওয়ার সময় তাদের হিজাব পরলেই চলবে।
সুহাইল কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান দপ্তরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এক সপ্তাহ আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালেবান শাসনামলে আফগান নারীদের জন্য বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। ওইসময় দেশটির নারীদের চাকরি করা নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীরা ভ্রমণে যেতে পারতেন না। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার অনুমতি ছিল না।
এসব কারণে আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থানে নারীদের মধ্যে ভীতি বেড়েছে। তবে সুহাইল শাহিন বলেন, ‘পুরো শরীর ঢাকা বোরকা নয়, নারীরা মাথায় হিজাব পরেছেন কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
এরই মধ্যে, কাবুলের বিভিন্ন মার্কেটে আফগান নারীদের বোরকা ও হিজার পরা অবস্থায় দেখা গেছে।
বিবিসি একটি ভিডিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগান নারীরা বাইরে বোরকা ও হিজাব পরে বের হচ্ছেন। বিভিন্ন মার্কেটে তাদের বোরকা পরা অবস্থায় কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।
এদিকে তালেবান তাদের দুই মন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধানের নাম ঘোষণা করেছে। ই মন্ত্রীর এক জনকে অর্থ ও অপরজনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে গুল আগাকে এবং ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে সদর ইব্রাহিমকে। এছাড়া গোয়েন্দাপ্রধান হবেন নাজিবুল্লাহ। একইসঙ্গে মোল্লা শিরিনকে কাবুলের গভর্নর এবং রাজধানীর মেয়র করা হয়েছে হামদুল্লাহ নোমানিকে।