আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সৌদি পরিবারের সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য হচ্ছে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। তাদের আয়ের মূল উৎস হচ্ছে জ্বালানী তেলের খনি। এছাড়া, মূল্যবান জায়গা ও বড় বড় ব্যবসায়িক চুক্তি থেকে শুরু করে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সবকিছু থেকেই আয় করে এই রাজপরিবার। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইনসাইডার মাংকিনের বরাত দিয়ে রেডিও তেহরানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পুরো সৌদি আরব রাষ্ট্রটিই সৌদ পরিবারের অঢেল সম্পত্তি ও আয়ের উৎস, যেটিকে তারা পারিবারিক সম্পত্তি বলে মনে করে। এছাড়া তারা প্রতি বছর হজ থেকেও বিপুল অংকের অর্থ আয় করে।
সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পরিবারগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইনসাইডার মাংকি। তালিকা তৈরিতে প্রতিষ্ঠানটি ফোর্বস ও এমএসএন মানির সম্পদশালী পরিবারের দুটো তালিকা সমন্বয় করেছে। একটি পরিবারের মোট সম্পদমূল্য ও কত দিন ধরে কী কী ব্যবসায় একটি পরিবার জড়িত—দুটো বিষয়কে এ তালিকা তৈরিতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। সম্পদের জন্য ৩০ নম্বর ও ব্যবসার স্থায়িত্বের জন্য ২০ নম্বর—মোট ৫০ নম্বর সমন্বয় করে ধনী ১০ পরিবারের তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। পুরো ৫০ নম্বর নিয়ে তালিকার ১ নম্বরে রয়েছে সৌদি রাজপরিবার।
অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে সৌদি আরব শাসন করা এই রাজপরিবারটি আল সৌদ নামে পরিচিত। সৌদ হচ্ছে তাদের বংশের নাম। ইতিহাসবিদ ও মধ্যপ্রাচ্য বিশারদ নাসিরুস সাইদ প্রণীত ‘আল সৌদের ইতিহাস’ গ্রন্থমতে, ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি নিয়ে হিজাজের নাম পরিবর্তন করে নিজ বংশের নাম অনুযায়ী এই বিশাল আরব ভূখণ্ডের নাম রাখে সৌদি আরব। এই দেশই (বর্তমান সৌদি আরব) বিশ্বের একমাত্র দেশ যার নামকরণ করা হয়েছে দেশটির সংখ্যালঘু একটি গোত্রের নাম অনুসারে।
আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ছিল ‘নজদ’ নামক মরু অঞ্চলের অধিবাসী। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সে ওয়াহাবি সম্প্রদায়ের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়। মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য ইংরেজদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই উগ্র মতবাদটির জন্ম দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যালফোর ফিলিস্তিনে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ঘোষণা ব্যালফোর ঘোষণা নামে ইতিহাসে খ্যাত। এ ঘোষণা দেওয়ার আগে ব্রিটিশরা সৌদি রাজা আবদুল আজিজের কাছ থেকে লিখিত সম্মতিপত্র আদায় করেছিল।
১১ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই