আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর কোরিয়া গত ৬ জানুয়ারি হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার নামে সফল বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পরই ৬ জানুয়ারি কিম জং উন বলের আমেরিকার হুমকি পেয়ে এই বোমা তৈরি করেছে কোরিয়া। তার পরই আমেরিকা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করতে থাকে এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে পরমাণু বোমাসহ যুদ্ধ বিমান সর্বরাহ করে। তার পর থেকেই উত্তর কোরিয়ার আকাশে উড়তে দেখা যায় আমেরিকার বোমারু বিমান।
গতকাল রবিবার আমেরিকা দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম দূরপাল্লার একটি বি-৫২ বোমারু বিমান উড়ানোয় যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে৷ উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালানোর পর সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এই মহড়া দিল ওয়াশিংটন। মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমানটি দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি ঘাঁটির ওপর দিয়ে অনেক নীচু হয়ে উড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে মাত্র ৭২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ওসান বিমান ঘাঁটির আকাশে অল্প কিছুক্ষণ উড়তে দেখা যায় এই মার্কিন বোমারু বিমানটিকে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন যৌথ সামরিক মহড়ায় বি-৫২ বোমারু বিমান ব্যবহার করা হলেও তাকে উড়তে দেখা যায়নি৷ ২০১৩ সালে উত্তর কোরিয়া তার তৃতীয় পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পরও আমেরিকা ঠিক একইভাবে একটি বি-৫২ বোমারু বিমান আকাশে উড়িয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া গত ৬ জানুয়ারি ভূগর্ভে হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালায় বলে বেশ জোর গলায় ঘোষণা করে৷ এটি ছিল তাদের চতুর্থ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জনং-উন বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধ এড়াতে আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে এই বোমার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। একটি সার্বভৌম দেশের পক্ষ থেকে এই ধরনের একটি স্বচ্ছ কাজের সমালোচনা করার অধিকার কারও নেই বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷
ওই পরীক্ষার পর দক্ষিণ কোরিয়া তার সীমান্তে পেতে রাখা মাইকগুলোতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করে৷ পিয়ংইয়ংও একই ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়ার যুদ্ধ শান্তিচুক্তির মধ্যদিয়ে শেষ না হওয়ায় কার্যত এই দু’টি দেশ এখনও যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে৷
১১ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই