আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান-সৌদি আরবের বিষয় নিয়ে তোড়পাড় বিশ্ব। বর্তমানে ইরানের সাথে যুদ্ধ বাধানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সৌদি আরব। দেশটি ভাবছে ইরানের সাথে যুদ্ধ বাধালে য়তো পাশে এসে দাঁড়াবে অামেরিকা। কিন্তু মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডি কেলি এই মন্তব্য করছেন। আজ মঙ্গলবার ইরানের প্রেস টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক ঠিকাদার কেলি। রেডিও তেহরানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
তিনি বলেন, ‘উসকানি দিয়ে ইরানকে সংঘর্ষে টানার চেষ্টা করছে সৌদি আরব এবং দেশটি আশা করছে, যুদ্ধ বাধলে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাস্তবে তেমনটি ঘটবে বলে আমি মনে করি না’।
ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে চলমান টানাপড়েন নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে কেলি আরো বলেন, ‘সৌদি আরবের আচরণে তুরস্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নেতৃত্ব দেয়ার একটা বাসনা দেখা যাচ্ছে। নিজেদের অতীত ইতিহাস ও ভবিষ্যত নিয়ে এই দু’টি দেশের মধ্যেই চরম বিভ্রান্তি কাজ করছে। উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ সৃষ্টিতে এই দু’টি দেশেরই ভূমিকা রয়েছে। তুরস্ক ও সৌদি আরব দু’দেশই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দায়েশ সৃষ্টি করেছে’।
মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার কেলি আরো বলেন, ‘কিন্তু দায়েশ বিরোধী অভিযানে রাশিয়া যুক্ত হওয়ার পর সৌদি আরব ও তুরস্কের সে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে’। গত ২ জানুয়ারি প্রখ্যাত সৌদি আলেম শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে আলে সৌদি সরকার। তেহরান এর তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পর ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। সেইসঙ্গে সৌদি আরব প্রভাবিত আরো কিছু দেশ ইরানের সঙ্গে হয় সম্পর্ক ছিন্ন করে অথবা সম্পর্কের মাত্রা কমিয়ে আনে। এরপর আরব লীগকে দিয়েও ইরান বিরোধী প্রস্তাব পাস করায় সৌদি আরব।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্ক দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে। ফলে সৌদি আরব যদি এই মুহূর্তে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সংঘর্ষে যায় তাহলে তার পক্ষে আমেরিকা হয়ত এগিয়ে আসবে না’।
১২ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই