আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছোট কিন্তু ভয়ঙ্কর, এমন পরিকল্পনা আমেরিকার। বাজারে একেবারে ‘নতুন প্রজন্মে’র পরমাণু বোমা আনছে ওয়াশিংটন!
তবে ডানাওয়ালা।
একটা নয়, চার-চারটি ডানা। যে ডানাগুলোকে ইচ্ছে মতো ঘোরানো যাবে। বাঁকানো যাবে। পরপর ১২টা স্কেলকে সাজিয়ে রাখলে লম্বায় যতটা হয়, নতুন মার্কিন বোমা ওই টুকুই। ‘নতুন প্রজন্মে’র পরমাণু বোমা ১১.৮ ফুট।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এমন খবর জানা গেছে।
ঢিলের বদলে পাটকেল। উত্তর কোরিয়াকে জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আমেরিকা। হাইড্রোজেন বোমার জবাবে পরমাণু বোমা। কিন্তু অনেক বেশি শক্তিশালী। লক্ষ্যে আঘাত হানার ব্যাপারে আরো বেশি নিখুঁত।
ভূগর্ভে পরীক্ষামূলকভাবে ছোট ছোট পরমাণু বোমা ফাটনোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা। এর জন্য সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মার্কিন মুলুকে নেভাদার মরুভূমিতে।
এবার আকাশ থেকে সবকিছু ‘বুঝে-শুনে’ নিতে চক্কর মারা শুরু করেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। মানে, ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে পরমাণু বোমা ফাটাতে পারে আমেরিকা।
পেন্টাগন সূত্রের খবর, আমেরিকা অনেক বেশি শক্তিশালী এই পরমাণু বোমা ‘বাজারে’ আনছে একেবারে নতুন মোড়কে। যার নাম- ‘বি-সিক্সটি ওয়ান-টুয়েলভ’। এর আগের মার্কিন পরমাণু বোমার সংস্করণটির নাম ছিল- ‘বি-সিক্সটি ওয়ান’।
নতুন মার্কিন পরমাণু বোমাটি আকারে ছোট হলেও লেজের দু’ পাশে রয়েছে দু’টি করে মোট চারটি ডানা। সেই নতুন মার্কিন পরমাণু বোমা লম্বায় পুরোপুরি বারো ফুটও নয়। কোন লক্ষ্যে আঘাত হানা হবে, তার ওপর নির্ভর করে, ওই পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ক্ষমতা বাড়ানো-কমানো যাবে।
এই প্রথম কোনো পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ক্ষমতাকেও ‘রিমোট কন্ট্রোর্লে’ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের দাবি। এর ফলে বিস্ফোরণের জেরে ভূমিকম্পের সম্ভাবনাকে কমানো যাবে।
দিন কয়েক আগে উত্তর কোরিয়া পরীক্ষামূলকভাবে হাইড্রোজেন বোমা ফাটানোর পর বড় মাপের ভূমিকম্প হয়েছিল তার আশপাশের এলাকায়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.১।
১২ জানুয়ারি,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম