আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান গিয়েছিলেন তিনি। প্রেমিকের জন্য শত্রু দেশে গিয়ে শ্রীঘরে যেতে হয়েছে তাকে। এখানেই শেষ নয়, বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়েছে তাকে।
ভারতের মুম্বই থেকে তিন বছর আগে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক ইঞ্জিনিয়ারকে খুঁজে পাওয়া গেছে পাকিস্তানের জেলে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেদেশের একটি আদালতে তার বিচার করছে।
নেহাদ হামিদ আনসারি নামের ওই যুবকের পরিবার জানিয়েছেন, তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে তাদের ছেলে বেঁচে রয়েছে পাকিস্তানে।
তবে জিনাত শেহজাদী নামের যে পাকিস্তানি নারী সাংবাদিক আনসারির খোঁজ করছিলেন,তাকে গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মুম্বইতে নেহাদ আনসারির মা ফৌজিয়া আনসারি জানিয়েছেন, “নেহালকে খুঁজে পাওয়া গেছে জেনে যে কি ভাল লাগছে আমাদের! তবে একইসঙ্গে মেয়ের মতো জিনাতকেও যদি তার মা ফিরে পেতেন!”
নেহাদ আনসারির পরিবার সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানা গেছে, ওই যুবক ইঞ্জিনিয়ার আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন কাজের সূত্রে।
সেখান থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাকিস্তানের কোহাট প্রদেশের এক নারীর সঙ্গে আলাপ হয় নেহাদের। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে তিনি ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে কোহাটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন।
সেখান থেকেই সেনা ও গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করেন নেহাদকে। তারপর থেকেই তার পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয় নি।
নেহাদের পরিবার পুলিশ ও আফগানিস্তানের দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন।
তিনি যে এক পাকিস্তানী নারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, সেটা জানা যায় তার সামাজিক যোগাযোগ রক্ষাকারী সাইটগুলিতে খোঁজ চালিয়ে।
তারপরেই পাকিস্তানের আদালতে ছেলের খোঁজ চেয়ে আবেদন করেন মিসেস আনসারি। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে নেহাদ তাদের হেফাজতে আছেন এবং সেনা আদালতে তার বিচার হবে।
ওই মামলাটির ১৮ মাস ধরে শুনানি হওয়ার পরে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নেহাদের হেফাজতে থাকার কথা স্বীকার করল। তবে ঠিক কী অভিযোগে নেহাদ হামিদ আনসারির বিচার চলছে, তা পরিবারের কাছে স্পষ্ট নয়।
১৬ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস