আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালের প্রসিদ্ধ পরশুরাম মন্দিরে ৪০০ বছর পর প্রবেশের অনুমতি পেল মহিলা ও দলিতরা। এ মন্দিরে এতোদিন দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ও মহিলারা ঢুকতে পারতেন না। সেই নিয়ম তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
কেরলের সবরিমালা মন্দিরে যখন মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে বিতর্কিত আইনি লড়াই চলছে তখনই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল পরশুরাম মন্দির। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বার থেকে সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দ্বার।
মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান জহর সিং চৌহান বলেন, এই অঞ্চলের উন্নয়ন হচ্ছে। আমাদের সাক্ষরতার হার বাড়ছে। এ বার পরিবর্তনের সময় এসেছে। গত কয়েক মাসে বারে বারেই প্রাচীন নিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন এই এলাকার দলিতরা। তাঁদের আন্দোলনের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি। দলিত নেতা দৌলত কুঁয়ার আনন্দবাজারকে জানান, ‘‘টানা ১৩ বছর ধরে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। পরশুরাম মন্দির কর্তৃপক্ষেরপশুবলি বন্ধ করার সিদ্ধান্তকেও আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।’’
তবে ওই অঞ্চলে এরকম আরও ৩৩৯টি মন্দির রয়েছে বলে জানা গেছে, যেখানে দলিত ও মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই। দলিতদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেই সব মন্দিরের দরজা যাতে সবার জন্য খুলে যায়, তার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা।
পরশুরাম মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান জওহর সিং টাইমস অব ইনডিয়াক বলেন, এ এলাকার পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নত হয়েছে, শিক্ষার হারও বেড়েছে। বদলে যাওয়া সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বলি প্রথার জন্যও পরিচিত এই মন্দিরে এবার থেকে বলিদান বন্ধ করে দেওয়া হল বলেও জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
১৬ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস