আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায় সময় বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার সময় খাতায় রাজনৈতিক স্লোগান থেকে সিনেমার ডায়লক লিখে দিয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন আগে ‘পুষ্পা’র জনপ্রিয় সংলাপ ‘আপুন ঝুঁকে গা নেহি’ জায়গায় ‘অপুন লিখে গা নেহি’ উত্তরপত্রে লিখে এসেছিল এক পরীক্ষার্থী।
পুষ্পা ছবির সংলাপ তুলে ওই পরীক্ষার্থী খাতায় লিখেছে, ‘পুষ্পা, পুষ্পারাজ, আপুন লিখেগা নেহি সালা।’ এই খাতার ছবি রীতিমত ভাইরাল হয়েছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এবার ভারতের উত্তরপ্রদেশে বোর্ড পরীক্ষায় এক ছাত্রীর খাতা দেখে স্তম্ভিত শিক্ষকরা।
ওই রাজ্যে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা চলছে। যেটাকে আমাদের দেশে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা বলে। উত্তর লেখা তো দূরঅস্ত, উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের নানা রকম 'আবদার' 'আকুতি' দেখে অবাক শিক্ষকরা।
পরীক্ষার্থীর আকুতি, ''স্যার, আমার তিন তিনবার বিয়ে ভেঙে গেছে। অনেক কষ্ট করে আমার পরিবার একটা 'সম্বন্ধ' (বিয়ে) ঠিক করেছে। কিন্তু পাত্র শর্ত রেখেছে, দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করলে তবেই আমাকে বিয়ে করবে। আমার বিয়ে নিয়ে মা-বাবা খুব দুশ্চিন্তায় আছেন। দয়া করে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দিন। যাতে বিয়েটা হয়ে যায়!''
পরীক্ষার খাতায় ছাত্রীর এমন আবেদনে স্তম্ভিত হয়ে যান পরীক্ষকরা। আরেক পরীক্ষার্থী লিখেছেন, “অনেক সম্বন্ধ দেখার পর অবশেষে বিয়ে হয়েছে তার। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা চান তিনি আরও পড়াশোনা করুন। কিন্তু পড়াশোনার বিষষে তার খুব একটা মনে থাকে না। তাই পরীক্ষকের কাছে অনুরোধ- এবার পাস করিয়ে দিন, যাতে শ্বশুরবাড়িতে আমার সম্মান থাকে।”
শুধু এই ধরনের অনুরোধই নয়, খাতার ভিতর থেকে ১০০, ২০০ এমনকি ৫০০ রুপির নোটও পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ। কেউ সেলোটেপ দিয়ে, কেউ সুতা দিয়ে সেই টাকা খাতার ভিতরে বেঁধে দিয়েছেন, যাতে উত্তরপত্র খুলতেই পরীক্ষকের নজরে পড়ে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা