আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরমাণু ইস্যুতে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের একদিন পরই ফের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের কারণে তেহরানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কিছুক্ষণ পর টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা ওবামা।
পাঁচ ইরানি নাগরিক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীন-কেন্দ্রিক একটি ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ককে কালো তালিকাভুক্ত করে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় দেশের মাধ্যমে এসব কোম্পানি কৌশলে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য স্পর্শকাতর উপাদান বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং পাঁচ ইরানি নাগরিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপাদান কেনার কাজ করতেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা নজরদারি করব।
মার্কিন অন্যতম সহকারী অর্থমন্ত্রী অ্যাডাম জে এসজুবিন দাবি করেছেন, “ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সে কারণে ইরানকে লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত থাকবে
গত ১১ অক্টোবর ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি প্রথমবারের মতো গাইডেড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এমাদ’র পরীক্ষা চালায়। ওয়াশিংটন ওই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করে, ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। সে সময় ইরানের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয় ওয়াশিংটন।
তবে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন দেহকান বলেছেন, এমাদ ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে একটি প্রচলিত যুদ্ধাস্ত্র এবং এর পরীক্ষা কোনো আন্তর্জাতিক আইনেই নিষিদ্ধ নয়। তিনি আরো জানান, তার দেশের কোনো ক্ষেপণাস্ত্রই পরমাণু ওয়ারহেড বহনের জন্য তৈরি করা হয়নি; কারণ পরমাণু অস্ত্র উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবহারকে হারাম (ধর্মীয় দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ) মনে করে তেহরান।
১৮ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস