আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে দুই বছর আগে ‘চোর’ বলেছিলেন রিপাবলিকান পিপলস পার্টি বা সিএইচপি নেতা কেমাল কিলিচদারোগ্লু। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুই লাখ তুর্কি লিরের মানহানির মামলা করেছিলেন এরগোদান। কিন্তু আদালত সে মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
২০১৪ সালে এরদোগান যখন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তার মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ও তাদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকায় উঠে আসে এরদোগানের ছেলের নামও। তখন এরদোগানকে ‘প্রধান চোর’ বলে অভিহিত করেন কিলিচদারোগ্লু।
আঙ্কারার ৭ নম্বর দেওয়ানি আদালতের বিচারক লেইলা কুন্দাকচি এ মামলার রায়ে বলেছেন, “রাজনৈতিক পরিবেশকে এতটা খারাপ করা উচিত নয়। কারণ তা আমাদের সন্তানদের সামনে খারাপ নজির স্থাপন করে।”
এরদোগানের আইনজীবীরা বলছেন, চোর অভিযুক্ত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব করা হয়েছে যা অত্যন্ত শোচনীয় অপরাধ এবং অন্যায়। “কাউকে তখনই ‘প্রধান চোর’ বা ‘চোর’ বলা যাবে যখন তার বিরুদ্ধে শক্ত দলিল-প্রমাণ থাকবে। বাক স্বাধীনতা প্রয়োগ কিংবা রাজনৈতিক সমালোচনার নামে এ ধরনের আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।”
তবে কিলিচদারোগ্লুরি আইনজীবীরা বলছেন, সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাদের মক্কেল নিজের মত প্রকাশ করেছেন এবং যখন তিনি এ মন্তব্য করেছেন তখন ৫৩ জন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল।
৫৫০ আসনবিশিষ্ট তুরস্কের পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল সিএইচপির ১৩৪টি আসন রয়েছে। ২০১০ সালের মে মাস থেকে দলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন কিলিচদারোগ্লু।
২৪ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস