আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোববার সারা সকাল রোদ ঝলমলে আবহাওয়ার পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে নিউইয়র্ক। স্কুল, কলেজ, দপ্তর, স্টক এক্সচেঞ্জ খুললো সোমবার। বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া–সহ এই শহরে কিছুটা স্বাভাবিক হলো বিমান পরিষেবা।
তবে ওয়াশিংটনে এখনও বিপর্যস্ত জনজীবন। সোমবারও সেখানে বন্ধ থাকলো সরকারি দপ্তর, স্কুল, কলেজ। রাস্তায় জরুরিকালীন ছাড়া অন্য গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকল। শুক্রবার থেকে তুষারঝড়ের জেরে আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯। বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয়েছে পথ দুর্ঘটনায়। বাকিরা ঘর গরম রাখার যন্ত্রের গোলযোগের কারণে শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছেন।
এই যন্ত্র ঠিকঠাক কাজ না করার ফলে বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড বেড়ে যায়। তাতেই নিউ জার্সি, দক্ষিণ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভেনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক জনের। সপ্তাহান্তে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থেকেছেন পূর্ব আমেরিকার অন্তত তিন লক্ষ নাগরিক। পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় ৪২ ইঞ্চি বরফ জমেছে, যা রেকর্ড।
২৬.৮ ইঞ্চি বরফের চাদরে চাপা পড়েছে নিউ ইয়র্ক। এর আগে ২০০৬ সালে ২৬.৯ ইঞ্চি বরফ পড়েছিল এই শহরে, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড। তুষারঝড় থামলেও রাস্তাঘাট, যানবাহনে জমে থাকা বরফ সরানোই এখন প্রশাসন, নাগরিকদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বরফ চাপা পড়ার কারণে ভিজে রয়েছে বাস, গাড়ির আসন। তাই আপাতত কয়েকদিন যানবাহনে চাপা মুশকিল হবে, জানালেন এক মার্কিন নাগরিক।
২৬ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি