আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সাথে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করলেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। এটি আন্তর্জতাকি গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পর বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সমালোচনার ঝড় বইছে।
নতুন করে বসতি স্থাপনের ইসরাইলি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, জাতিসংঘ প্রধান ‘সন্ত্রাসবাদ’কে উৎসাহিত করছেন।
মঙ্গলবার নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক আলোচনায় মুন নতুন করে ‘অধিকৃত পশ্চিম তীরে আরো ১৫০ টি ইহুদি বসতি’ স্থাপনের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন।
বান কি-মুন বলেন, ‘এ ধরনের উস্কানিমূলক সিদ্ধান্ত দখলকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করবে, এ অঞ্চলে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং শান্তি রোডম্যাপের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করবে’।
তিনি বলেন, ‘বসতি স্থাপন চালিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রকাশ্যে অবমাননার সামিল। এই সিদ্ধান্ত ইসরাইলের প্রতিশ্রুত দুই দেশ সমাধানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
মুন আরো বলেন, ইসরাইলের সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হতাশা বাড়বে এবং দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করাই মানুষের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট।
মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের মন্তব্য সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছে এবং আরো বলেন , ‘জাতিসংঘ অনেক আগেই তার নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা হারিয়েছে’।
সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সন্ত্রাসবাদ কখনো ন্যায় হতে পারে না।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকারীদের সন্ত্রাসী দাবি করে নেতানিয়াহু বলেন, তারা কোনো দেশ গঠন করতে চায় না বরং তারা একটি দেশকে ধ্বংস করতে চায় এবং তারা এটি গর্বের সাথে ঘোষণা করে।
ইহুদি দেশটির প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তারা (ফিলিস্তিনি) ইহুদিদেরকে যেখানে পাওয়া যায় সেখানেই হত্যা করতে চায়। তারা শান্তির জন্য বা মানবাধিকারের জন্য হত্যা করতে চায় না।’
নতুন করে ইসরাইলি বসতি স্থাপনের প্রতিবাদে গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে কয়েকমাস ব্যাপী সংঘর্ষে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় পথচারী, নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিদের হামলায় ২৫ ইসরাইলি মারা গেছে। -আলজাজিরা
২৭ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস