জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেল শক্তিশালী কালবৈশাখী, লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে...
এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : টানা তাপদাহের পর মৌলভীবাজারে স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে গেছে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে গাছ পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক গাছ উপড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। প্রায় দুই শতাধিক পাকা ও টিনের ভেঙে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ মহাসড়কের রাজনগর উপজেলার চৌধুরী বাজারে গাছ পড়ে রনি (২৩) নামে মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। রনি উপজেলার মুরালী গ্রামের বাসিন্দা। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাত ১০টায় জেলার পশ্চিম উত্তর কোন থেকে বয়ে আসা কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় মৌলভীবাজার সদরসহ সাতটি উপজেলায় বৃষ্টিতে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে।
কালবৈশাখী ঝড়ে লাইনের ওপর গাছ পড়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রাজনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম আজমান উদ্দিন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অফিস আগেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে ছিল।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল গ্রামের সেলিম খান জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কয়েকদিন গরমে অতিষ্ঠ ছিলাম। বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে, কালবৈশাখী ঝড়ে এলাকায় ২০টির মতো গাছ উপড়ে পড়েছে। এছাড়া বহু কাচা ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলার মারুফ আহমদ বলেন, স্বস্তির বৃষ্টিতে গরম অনেকটা কমেছে। তবে, ঝড়ে এলাকার ৫০টির মতো ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়েছে। অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
রাজনগর উপজেলা সদরের জুনায়েদ আহমদ বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনেই বিদ্যুৎ লাইনের ওপর একটি গাছ পড়েছে। ঝড়ে এলাকায় প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভুষন রায় বলেন, রাজনগরে কালবৈশাখী ঝড়ে রনি নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। তবে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড় ধরনের কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী আনিসুর রহমান বলেন, সিলেট বিভাগে আগে থেকেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েকদিন থেকে মৌলভীবাজারে উচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছিল।
