শনিবার, ০৬ মে, ২০২৩, ০৮:৪৩:২৭

১০০ টাকার ওপরে সব নোট বাতিল চেয়ে কোর্টে মামলা

১০০ টাকার ওপরে সব নোট বাতিল চেয়ে কোর্টে মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একশত টাকার ওপরের বড় আকারের সব টাকার নোট বাতিল চেয়ে ভারতের দিল্লির হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। ওই মামলাকারী তার আবেদনে বলেছেন, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে ১০০ টাকার উপরের কোনও নোট বাজারেই রাখা চলবে না। মামলা গ্রহণ করে এ বিষয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং দিল্লির অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের মতামত জানতে চেয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

শুধু ১০০ টাকার উপরের ব্যাঙ্কনোট সম্পূর্ণ তুলে নেওয়াই নয়, ১০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন নগদে করার উপর নিষেধাজ্ঞারও আবেদন জানানো হয়েছে এই মামলায়। এ ছাড়াও আবেদনে বলা হয়েছে, ৫০ হাজার টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তির ক্ষেত্রে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হোক।

মামলাকারী দিল্লি হাই কোর্টের এক আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, আর্থিক দুর্নীতিতে রাশ টানতে এই তিনটি পদক্ষেপ করতেই হবে। নিজের আবেদনে তিনি লিখেছেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও, একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হওয়ার ৭৩ বছর কেটে গেলেও (দেশের) কোনও একটি জেলাও ঘুষ, কালো টাকা, বেনামি লেনদেন, হিসাব-বহির্ভূত সম্পদ, কর ফাঁকি অথবা আর্থিক প্রতারণার থেকে মুক্ত নয়।’’

এর দাওয়াই হিসাবে আদালতের কাছে অশ্বিনীর আর্জি, বিমান বা রেল টিকিট, বিদ্যুতের ও গ্যাসের বিলের মতো যাবতীয় বিল ১০ হাজার টাকার বেশি হলে তা নগদে জমা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হোক। এমনকি, ফ্লিপকার্ট বা অ্যামাজনের মতো অনলাইন শপিংয়ের ক্ষেত্রেও নগদে কেনাকাটিতে বিধিনিষেধের আবেদন করেছেন তিনি। অশ্বিনীর পরামর্শ, হিসাব-বহির্ভূত সম্পদের অধিকারী, বেনামে লেনদেনকারী এবং কালোবাজারিতে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হোক।

আদালতে আবেদনকারীর দাবি, এতে কালোবাজারি থেকে বেনামে অর্থ লেনদেন রোখা যাবে। এ বিষয়ে কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকারের কী মত, বুধবার তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার বেঞ্চ। আগস্টে বিশদে শুনানির জন্য মামলাটি তালিকাভুক্ত করতে চায় হাই কোর্ট।

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে রাতারাতি নোট বন্দির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই নির্দেশের জেরে ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার তৎকালীন সব নোট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। মোদী সরকারের দাবি ছিল, কালোবাজারি তথা আর্থিক দুর্নীতি রুখতে এই পদক্ষেপ কার্যকরী হবে। যদিও বাস্তবে তার ফল সব মিলিয়ে ভাল হয়েছে না মন্দ, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে