আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জিকা ভাইরাস! সাম্প্রতিক সময়ে দুঃশ্চিন্তার একটি অন্যতম কারণ এই মশাবাহিত জিকা ভাইরাস। শিশুর নানা জন্মগত বৈকল্যের জন্য দায়ী এই ভাইরাস। যা এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
এদিকে এই মশাবাহিত জিকা ভাইরাসটির বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
জিকা ভাইরাস প্রধানত ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের মশাবাহিত একটি ভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের শিশুরা মারাত্মক জন্মগত বৈকল্যের শিকার হয়।
এই ভাইরাস আক্রান্ত অনেক শিশুর মাথা ছোট হয় এবং জন্মের আগেই দেহের আকৃতি অস্বাভাবিক হয়ে যায়। এ রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এর ফলে এর চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাস ঝুঁকিতে থাকা দেশের নারীদের গর্ভধারণ না করার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড পিভেনশন (সিডিসি) সংস্থা ২২টি গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। এ সতর্কতার আওতায় তারা ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলকে রেখেছে।
এসব দেশের মধ্যে রয়েছে বার্বাডোজ, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, গুয়াডিলোউপ, গায়ানা, কেপ ভার্দে। এ ছাড়া পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্যামোয়াও এ তালিকায় রয়েছে।
গত সপ্তাহে যেসব দেশে ভাইরাসটির বিষয়ে সতর্কতা জারি হয় সেসব দেশ হলো ব্রাজিল, কলম্বিয়া, এল সালভেদর, ফ্রেঞ্চ গায়ানা, গুয়াতেমালা, হাইতি, হন্ডুরাস, মার্টিনিকু, মেক্সিকো, পানামা, প্যারাগুয়ে, পোর্টেরিকো, সুরিনাম ও ভেনিজুয়েলা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গর্ভবতী নারীদের এসব অঞ্চলে ভ্রমণ করা একেবারেই উচিত নয়। এর কারণ গর্ভবতী নারীদের এ ভাইরাস আক্রমণে তাদের সন্তান জন্মগতভাবে অস্বাভাবিক মস্তিষ্ক পেতে পারে।
জানা গেছে, জিকা ভাইরাসের প্রভাবে জ্বর, র্যাশ, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। তবে এ ভাইরাসের একজন মানুষের থেকে অন্যজনে সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
২৯ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন