আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অসময়ে কেউ থাকে না পাশে। আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার ও জামিন কাণ্ডের পর থেকে হঠাৎ যেন একা হয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কাছের মানুষ, ঘনিষ্ঠজনসহ একে একে সবাই ছেড়ে যাচ্ছেন এক সময়ের প্রাণপ্রিয় এই নেতাকে।
ওই ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত দল ছেড়ে বেরিয়ে গেছে ৭৪ জন নেতা । ইসলামাবাদ থেকে ১ জন। পাঞ্জাব থেকে ৫৪ জন। খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ১০ জন। সিন্ধু থেকে ১৭ এবং বেলুচিস্তান থেকে ২ জন। জিইও নিউজ।
৯ মে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান গ্রেফতারের পর সহিংস বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা পাকিস্তান। ক্ষিপ্ত সমর্থক ও কর্মীরা রাষ্ট্রীয়-সামরিক স্থাপনাসহ সারা দেশে ভাঙচুর চালায়। প্রায় তিন দিনের বিক্ষোভে কমপক্ষে ৮ জন প্রাণ হারিয়েছে।
আহত হয় আরও কয়েক ডজন। পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের আটক করতে পিটিআই কর্মীদের ওপর শুরু ধরপাকড়-তল্লাশি।
নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় দেশের শীর্ষ বেসামরিক-সামরিক নেতৃত্ব। আর্মি অ্যাক্টসহ প্রাসঙ্গিক আইনে দাঙ্গাকারীদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া ঘোষণা করা হয়। ধরে নিয়ে যায় পিটিআইয়ের প্রভাবশালী নেতাদের।
সেনা-সরকারের এ ঘোষণায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দলে। এক পর্যায়ে ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীসহ বেশ কয়েকজন পিটিআই নেতা ঘোষণা দিয়ে দল ছেড়ে দেন। একইসঙ্গে সামরিক স্থাপনার হামলার জন্য ইমরান খানকেই দায়ী করেন। পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পিটিআই নেতাদের দেখা দিয়েছে প্রদেশভিত্তিক ভাঙন।