আন্তর্জাতিক ডেস্ক: টানা ৫ বছর ধরে তাকে খুজছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশেরই নাকের ডগায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেই গুপ্তচর। অথচ তারা টেরই পায়নি।
জাতীয় সড়কের ওপর মন্দিরের আশেপাশে রোজই ভিড় করে ভিখারিরা। ভক্তদের দয়া-দাক্ষিণ্যে তাদের দিন গুজরান হয়। কিন্তু সেই দলেই মিশে গিয়েছিল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গুপ্তচর। সেই চর এভাবেই ৫টি বছর রাস্তায় কাটিয়েছে!
সম্প্রতি ভারতের হরিয়ানার অম্বালা জেলা থেকে ধরা পড়েছে সেই গুপ্তচর আসলাম। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জেরায় বিভিন্ন ধরণের তথ্য দিয়েছে সে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে রাজকোট-জামনগর জাতীয় সড়কের ওপর সাঁইবাবার মন্দিরে ভিখারিদের দলের সঙ্গে মিশে গা-ঢাকা দিয়েছিল এই আসলাম। ছদ্মবেশ ধরে ভিক্ষে করার ছলে আসলে নানান গোপন তথ্য জোগাড় করাই তার কাজ ছিল।
পুলিশের এক কর্মকর্তার দাবি, এই কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার সে রাজকোট, আহমেদাবাদ ও জামনগরে যাতায়াত করেছিল। আসলামের কাছ থেকে জামনগরে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি এবং সেনা শিবিরের নকশা উদ্ধার হয়েছে।
এছাড়া পাওয়া গিয়েছে চিনের তৈরি দূরবীন ও টর্চ। ধৃত পাক চর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করতে গুজরাট এটিএস-কে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গুজরাট এটিএস-এর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত রেলওেয়ে স্টেশনে আসনাম সংবাদপত্র বিক্রির কাজও করত। স্টেশনের আশেপাশের দোকানদাররা ছবি দেখে আসলামকে শনাক্ত করেছেন। ভিখারির ভেক ধরায় তাকে কেউই সন্দেহ করেনি।
জানা গেছে, সকালে সংবাদপত্র বিক্রি করার পর সাঁইবাবার মন্দিরে সারা দিন সে ভিক্ষে করত। রাতে মন্দিরের কাছে ফুটপাথের ওপরই সে ঘুমোত।
পুলিশের হাতে রাজকোট বায়ুসেনা ঘাঁটির কাছে আসলামের নমাজ পড়ার ছবি এসেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, ছবির আলোকচিত্রীও আইএসআই-এর সঙ্গে জড়িত। আপাতত সেই সম্পর্কে অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
৩০ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস