রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩, ০৬:০১:০৪

প্রতিটি আম ১০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছি: শওকত হোসেন

প্রতিটি আম ১০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছি: শওকত হোসেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমের গন্ধে ভরে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি শপিং মলে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী আম উৎসব। গত ৯ জুন এই উৎসবের শুরু হয়েছিল। আর সেখানে একেবারে নজর কাড়ল আমের রাজা মিয়াজাকি। 

জাপানি আম দেখতেই ভিড় করছে অনেকে। হ্যাঁ দেখতে বটেই কারণ এই আমের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ২.৫ লক্ষ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হয়। বীরভূমের দুবরাজপুরের একটি মসজিদ চত্বরে এই জাপানি আম গাছ হয়েছিল। আর সেখানেই ফলেছে মিয়াজাকি আম। 

একটা বাক্সে করে অত্যন্ত যত্ন করে সেই আম নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়িতে। তুলোর মধ্যে বাক্সের মধ্যে লাল আম। কিন্তু দাম শুনলে একেবারে চমকে ওঠার মতো। হ্যাঁ কারণ প্রতিটি আম বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

আম উৎপাদক শওকত হোসেন জানান যে বীরভূম থেকে মোট ১০ টি আম নিয়ে শিলিগুড়ি এসেছিলেন তিনি। সবকটা আমই বিক্রি হয়ে গেছে। মডেলা কেয়ারটেকার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ২৬২ ধরনের আমের প্রজাতি রয়েছে এখানে। 

আম দেখা, আম কেনার জন্য ভিড়। তবে সবারই চোখ এক জায়গায় এসে আটকে যাচ্ছে, সেটা হল মিয়াজাকি। লোকমুখে বহুল চর্চিত এই আম এখন ট্রেন্ডিং। আসলে বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হয় এই আম নাকি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। চোখের পক্ষেও নাকি এই আমের জুড়ি মেলা ভার।

এটি আসলে জাপানি প্রজাতির আম। অনলাইনে লাখ টাকা দামে বিক্রি হয়। তবে বর্তমানে ভারতের কয়েকটি জায়গায় এই আম হয়। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে রীতিমতো পাহারা দিয়ে এই আম চাষ করা হয়। বীরভূমের শওকত হোসেন নামে এক কৃষক এই আম নিয়ে এসেছেন। সবটাই বিক্রি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

শওকত বলেন, “চাহিদা অনুযায়ী এই আমের দাম ১০ হাজার টাকা প্রতি আম হিসেবে বিক্রি করেছি। কেউ পাঁচ হাজার টাকা করেও আম নিয়ে গিয়েছে আমার থেকে। আমি চাই আমার আম সবার কাছে পৌঁছে যাক।চাহিদা বাড়লে এই আম নিলামও করা হতে পারে।”

জাপানি মিয়াজাকি আম উৎপাদনকারী কৃষক শওকত আরও বলেন, “প্রায় দেড় বছর আগে বিদেশি জাপানি মিয়াজাকি আমের ৫টি গাছ লাগিয়েছিলেন তিনি।সেই গাছগুলির মধ্যে একটি গাছে ৩৮টি আম হয়েছে। বীরভূমে এই আম নিলামে বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ১০ হাজার টাকায়। 

এখানেও ১০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা দিয়ে অনেকেই আম নিয়ে গিয়েছেন। মিয়াজাকি আম কিনতে আসা অভিজিৎ ভাটিয়া জানান, ‘‘বহুদিন ধরেই এই আমের কথা অনেকের কাছে শুনেছি তবে কিনতে পারব ভাবিনি। আম উৎসবের সৌজন্যে মিয়াজাকি আম বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সকলের সঙ্গে উপভোগ করব।”

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে