শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৫:৪০:০৫

পরিবার সম্পর্ক না মানায় প্রেমিক যুগলের অাত্মহত্যা

পরিবার সম্পর্ক না মানায় প্রেমিক যুগলের অাত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরিবার ভালোবাসার সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় একই সঙ্গে কীটনাশক খেয়ে দুইজনই তাদের নিজ নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটান। এ ঘটনাটি ঘটে ভারতের ২৪ পরঘনায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত রাজা হালদার (২২) সরিষা শিশুরাম দাস কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও রিয়া মণ্ডল (১৭) রাধানগর হাইস্কুলের এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল৷ বৃহস্পতিবারের ঘটনা কুলপি থানার রাধানগর হাট এলাকার৷ এ দিন রাত পর্যন্ত ছেলে ও মেয়ের পরিবার পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খরব জানা যায়।

তবে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷ স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, রাধানগর এলাকার হরিনারায়ণ পুরের বাসিন্দা রাজা৷ পাশের গ্রাম কেশবনগরের বাসিন্দা রিয়া৷ রাজা স্বচ্ছল পরিবারের একমাত্র সন্তান৷ কয়েক বছর আগে রিয়ার বাবা মারা যাওয়ায় মা কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন৷ এলাকার একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে রিয়ার সঙ্গে আলাপ হয় রাজার৷

একসময় সেই আলাপ ভালোবাসায় সম্পর্কে পৌঁছয়৷ পরে দু'জনের সম্পর্কের কথা জানতে পারে তাদের পরিবার৷ অভিযোগ, রিয়ার পরিবার তুলনামূলক অস্বচ্ছল হওয়ার এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি রাজার সম্ভ্রান্ত পরিবার৷ তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়৷ কিন্তু রিয়া ও রাজা কেউ কাউকে ছাড়তে রাজি ছিল না৷ তাদের সম্পর্কের কথা এলাকার বাসিন্দারাও জানতেন৷

রাজার বন্ধু মহলের দাবি, রিয়ার থেকে দূরে রাখতে বুধবার রাতে রাজাকে প্রচণ্ড বকুনি দেন পরিবারের লোকজন৷ তা নিয়ে রাতেই গোপনে ফোনে রিয়া ও রাজার মধ্যে আলোচনা হয়৷ এ দিন সকালে বাড়ির লোকজনেরা ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে দুই বাড়িতেই দু'জনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন৷ প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে পরিবারের লোকজনেরা দু'জনকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ চিকিত্সকেরা দু'জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, দু'জন একে অপরকে ভালোবাসত৷ ওদের পরিবার তা মেনে না নেয়ায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ওরা৷ দু'জনের বাবা -মায়েরা কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না৷ তারা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি৷ দুই গ্রামের অনেক বাসিন্দাই রাজা ও রিয়াকে ভালো ভাবেই চিনতেন৷ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে তাদের এক সঙ্গে ঘুরতেও দেখা গিয়েছে৷

রাজার এক প্রতিবেশী বলেন, 'ওর ব্যবহার খুব ভালো ছিল৷ পরিবার ওদের সম্পর্ক মেনে নিলেই ভালো করত৷ তা হলে আর এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটত না৷' রিয়ার প্রতিবেশীদের মুখেও একই কথা শোনা গেল৷ দু'জনের কলেজ এবং স্কুলের সহপাঠীরা খবর শুনে বিস্মিত৷
৩০ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে