শনিবার, ২৪ জুন, ২০২৩, ০৪:৫৭:৫১

সাবমেরিন টাইটান সর্বনাশা অভিশাপ! ভয়ানক পরিণতির আসল ঘটনা জানুন

সাবমেরিন টাইটান সর্বনাশা অভিশাপ! ভয়ানক পরিণতির আসল ঘটনা জানুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাবমেরিন টাইটানের ওপর কোন সর্বনাশা অভিশাপ ছিল? গোটা বিশ্ব জুড়ে হইচই। কত টাকা খরচ করে মৃত্যুর মুখে গেছিলেন যাত্রীরা? ভুল বোঝানো হয়েছিল! পাকিস্তানের বিলিয়নিয়রের ভয়ানক পরিণতি শুনলে চোখে পানি আসবে। 

এমন অ্যাডভেঞ্চার করার আগে এবার ১০০ বার ভাববে মানুষ। একটা ডিশিসন, অ্যাডভেঞ্চারের নেশা, ভয়ানক পরিণতি। টাইটার ডুবোযানটির ছিল না কোনো নিরাপত্তা সার্টিফিকেট। লুকিয়ে গেছিল সংস্থা ওশানগেট? ভাবুন তো নিজের শেষ চোখের সামনে দেখেও কোনও উপায় ছিল না বাঁচার। কতটা ছটফট করেছিল এতগুলো প্রাণ। 

গোটা বিশ্ব এখন চর্চা করছে এই একটা টপিকেই। সাবমেরিন টাইটানের সঙ্গে যা ঘটল আসল কাহিনীটা জানেন? অনেকেই বলছেন টাইটানিকের অভিশাপেই বিস্ফোরণ হল সাবমেরিন টাইটানের। সাবমেরিন নয় সাবমারশিবল ছিল টাইটান। 

মেক্সিকান এক পর্যটক নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন টাইটানের মতো ছোট ডুবোযান নিয়ে সাগরের এত গভীরে যাওয়া খুবই বিপজ্জনক। দুই হাজারের বেশি যাত্রী নিয়ে ১৯১২ সালে ডুবে যায় টাইটানিক। অনেকেই সিনেমাটা দেখেছেন কিন্তু তার রহস্য জানতে আজও উৎসুক বহু মানুষ। 

সাবমেরিন টাইটান চালাচ্ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন সরবরাহকারী কোম্পানি ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ সঙ্গে অভিযাত্রী পাকিস্তানি বিলিয়নিয়র শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে ১৯ বছরের ছেলে সুলেমান দাউদ। সুলেমান নাকি যেতে চাননি এই অভিযানে, তবে তার টাইটানিক নিয়ে অবসেসড বাবার আবদার রাখতেই নিয়েছিল রিস্ক। 

৫৮ বছর বয়সী হ্যামিশ হার্ডিং একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী। ৭৭ বছর বয়সী পল অঁরি নাজোলে ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি। গুণে গুনে এক এক জনের আড়াই কোটি টাকা খরচ। আড়াই কোটি খরচ করে মৃত্যুকে ডাকা হল টাইটান সাবমারশিবলে চড়ে আটলান্টিকের তলদেশে। 

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন পাঁচ পর্যটক। তারা জানতেন না কত বড় ফল্ট রয়েছে টাইটানে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টাইটান একটা পরীক্ষামূলক ডুবোযান ছিল। যা কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদিত নয় এটি আপনার শারিরীক ইনজুরি, মানসিক ট্রমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। 

যাত্রা শুরুর আগে এরকম বন্ডে স্বাক্ষর করতে হয় যাত্রীদের। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পানির এতটাই নীচে চলে গিয়েছিল এই জলযান যে জলের চাপেও এই তুবড়ে যায় ভিতরে কৃত্রিম ভাবে যে চাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয় সেটি ভারসাম্য রাখতে পারে না জলের চাপের সঙ্গে আর সেই কারণেই এটি দুমড়ে ভেঙে যায়।

জীবনের শেষ কতটা বীভৎস হতে পারে এটা তার নজির৷ সাগরের ৪ হাজার মিটার গভীরতায় ডুব দেয়ার সক্ষমতা আছে। বিশ্বের মাত্র ১০টি সাবমারসিবলের টাইটান তাদের মধ্যে একটি হলেও এর কোনো সার্টিফিকেট ছিল না। এই খাতের বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিল এটা খুই বিপজ্জনক। 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে