 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কয়েকদিন ধরে আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়ায় পুরুষদের জন্য অন্তত দুটি বিয়ে বাধ্যতামূলক গণমাধ্যমের এ খবরে বেশ আলোড়ন তুলে। তবে গতকাল দেশটির পক্ষ থেকে খবরটিকে একেবারে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগেই বিশ্বের অনেক যুবক দেশটিতে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন।
ইরিত্রিয়ার একটি ম্যাগাজিনে দুই বিয়ে নিয়ে একটি ব্যাঙ্গাত্বক লেখা ছাপা হয়েছিল। পুরো আফ্রিকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল লেখাটি। ওই লেখাটিই দেশটির আসল ঘটনা মনে করে প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
কিন্তু এরই মধ্যে নিজেদের দেশ সম্পর্কে এ ধরনের ভুয়া খবর ছড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইরিত্রিয়ান কর্মকর্তারা। বিবিসির কাছে এক ইরিত্রিয়ান কর্মকর্তা বলেন, আমাদের রাজধানীতে যে পাগলরা বসবাস করছে তারা জানে যে, এটি একটি মিথ্যা কথা। এ ধরনের কোনো নিয়ম আগেও চালু ছিল না, এখনো নেই।
ক্রেজি মানডে নামের কেনিয়ার একটি নিউজ ওয়েব সাইটে ওই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়। কিন্তু অনেকেই সেটিকে সত্যি ভেবে শেয়ার করতে থাকেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টুইটারে।
টুইটারে নাইজেরিয়া ও অন্যান্য আফ্রিকান অঞ্চলে বিষয়টি দীর্ঘক্ষণ ‘ট্রেন্ডিং’ করছিল। টুইটারে অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, তারা নতুন স্ত্রী খুঁজতে ইরিত্রিয়া যেতে প্রস্তুত। অনেক ব্যবহারকারী ইরিত্রিয়ার ভিসা পাওয়ার আবেদনপত্রের লিঙ্ক টুইটারে শেয়ার পর্যন্ত করেন।
স্যাটায়ার ম্যাগাজিনে বলা হয়েছিল, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে ইরিত্রিয়ায় পুরুষের সংখ্যা কমে গছে।  সে কারণে প্রত্যেক ইরিত্রিয় পুরুষ অন্তত দুজন স্বদেশি নারীকে বিয়ে করতে বাধ্য থাকবে।  যারা অমান্য করবে তাদের কারাদণ্ড হতে পারে।
৩০ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম