মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩, ১১:৩৭:৪৮

তুরস্কের এতো বড় 'বিশ্বাসঘাতকতা'য় ক্ষুব্ধ রাশিয়া

তুরস্কের এতো বড় 'বিশ্বাসঘাতকতা'য় ক্ষুব্ধ রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তারা যেন ‘দ্য ৩০০’। থার্মোপিলাইয়ের যু'দ্ধে যেভাবে পারস্য সম্রাট জেরেক্সাসের বিরাট সেনাকে রুখে দিয়েছিলেন স্পার্টার রাজা লিওনাইডাস, কার্যত একই কায়দায় মারিওপোলে বিরাট রুশ বাহিনীক আটকে দিয়েছিলেন তারা। 

তবে শেষমেশ শত্রুদের হাতে বন্দি হন ওই যো'দ্ধারা। এবার তুরস্ক থেকে মারিওপোলের সেই পাঁচ কমান্ডারকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাঁচশো দিন পেরিয়ে গেলেও চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মহাসংগ্রাম। 

সংঘাত আলোড়ন তৈরি করেছে গোটা বিশ্বে। বারবার শান্তি ফেরানোর আরজি জানালেও থামাতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ যু'দ্ধব'ন্দি ইউক্রেনীয় সেনা কমা'ন্ডার ডেনিস প্রোকোপেনকো, শ্বেতোস্লাভ পালামার, সেরি ভলিনস্কি, ওলে কোমেনকো, ডেনিস শ্লেহাকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার দেশে ফেরেন জেলেনস্কি। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “অবশেষে পরিবারের সকলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন ওরা।” পূর্ব ইউক্রেনের যু'দ্ধক্ষেত্রে লড়ছেন কমান্ডার ম্যাকসিম জোরিন। তিনি বলেন, “অবশেষে! একটা দারুণ ভাল খবর। ভাইদের শুভেচ্ছা।”

গত বছর দীর্ঘ ল'ড়াইয়ের পর গোটা মারিওপোল শহরই দখল করে ফেলে রু'শ বাহিনী। তবে বন্দর শহরটির আজভস্টাল লৌহ ও ইস্পাত কেন্দ্রে ঘাঁটি গেড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল ইউক্রেনীয় সেনার বিশেষ বাহিনী আজভ রেজিমেন্ট ও ৩৬ মেরিন ব্রিগেড। কিন্তু আ'ঘা'ত, পানীয় জল, খাবার ও গো'লাবা'রুদের অভাবে শেষরক্ষা করা যায়নি। 

বন্দি করা হয় কমা'ন্ডারদের। সেপ্টেম্বর মাসে তুরস্কের মধ্যস্থতায় কিছু ইউক্রেনীয় সেনাকে মুক্তি দেয় রাশিয়া কিন্তু সে সময়ে আঙ্কারার সঙ্গে চুক্তি করে মস্কো, যু'দ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুরস্কে থাকতে হবে ওই কমান্ডারদের। কিন্তু গত শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেলেনস্কি। 

তারপরই ওই পাঁচ কমান্ডারকে মুক্তি দেয় আঙ্কারা। এদিকে, তুরস্কের এতো বড় 'বিশ্বাসঘাতকতা'য় ক্ষু'ব্ধ রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আঙ্কারার পক্ষ থেকে তাদের কথা দেওয়া হয়েছিল, ওই ইউক্রেনীয় যো'দ্ধাদের তুরস্কেই রাখা হবে। পেসকোভের অভিযোগ, কথা তো রাখা হয়ইনি, মস্কোকে এ বিষয়ে কিছু জানানো পর্যন্ত হয়নি। 

প্রসঙ্গত, ভৌগোলিক ও কৌশলগত দিক থেকে রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিওপোল। কারণ, রাশিয়া অধিকৃত ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রুশপন্থীদের দখলে থাকা ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকাকে (দোনবাস অঞ্চল) যুক্ত করতে চায় মস্কো। এই যোগসাধনের জন্য প্রয়োজন বন্দর শহর মারিওপোলে দখল কায়েম রাখা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে