মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩, ১১:৫৮:২১

ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, যখন আঘাত হানবে

 ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, যখন আঘাত হানবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।

ভারতের আবহাওয়া অফিসের ডিরেক্টর এইচ আর বিশ্বাস বলেন, “ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যা ক্রমশই শক্তি বৃদ্ধি করছে। এর জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে। ”

২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত মূলত তৈরি হবে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। এমনটাই জানিয়েছেন IMD ভুবনেশ্বরের ডিরেক্টর। এর জেরে ভুবনেশ্বরে ১৯ থেকে অর্থাৎ বুধবার থেকে তুমুল বৃষ্টি হবে ওডিশায়। বাদ যাবে না পশ্চিমবঙ্গও। বৃষ্টিতে ভাসবে গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী এলাকাগুলি।

মৌসম ভবনের তরফে আরও বলা হয়েছে, ২০ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই থেকেই এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে শুরু করে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। রবিবার থেকেই ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে এর জেরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে ওডিশা, বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড উপকূলে।

বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণাবর্তের জেরে সোমবার কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় দুপুরের দিকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবারও সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ ছিল মেঘলা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে শহরে। যা কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর, প্যাচপ্যাচে গরম থেকে রেহাই দিয়েছে।

জুলাইয়ের অর্ধেকের বেশি সময় কেটে গেলেও বৃষ্টির অভাব ধুঁকছে দক্ষিণবঙ্গ। ফলে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপের রূপ নিলে কিছুটা হলেও বৃষ্টির ঘাটতি মিটবে রাজ্যে। এমনটাই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি বৃষ্টির ঘাটতি এখনও রয়েছে। এই সপ্তাহের আগে তা ছিল প্রায় ৪০। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ রাজ্যে বর্ষার ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়ে দিতে পারে এই ঘূর্ণাবর্ত।

অন্যদিকে, দিল্লিতে এখনও অব্যাহত বন্যা পরিস্থিতি। যদিও মঙ্গলবার যমুনা নদীর জলস্তর অনেকটাই কমেছে। তবে এখনও জলমগ্ন রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তাজমহলের ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে তাজমহল চত্বর সম্পূর্ণ জলমগ্ন। ভাসছে তাজমহলের পিছনের দিকের বাগান। যা মনে করাচ্ছে ১৯৭৮ সালের দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি। যে সময় তাজমহলের বেসমেন্ট হয়ে ২২টি ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল যমুনা নদীর জল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে