আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমরা এমন একটি দূর্গ বানিয়েছে ভারতে যা ভাঙা সম্ভব নয়। দেশে একাধিক নতুন বাইক লঞ্চ হতেই হুঙ্কার রয়্যাল এনফিল্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ লালের। কমবেশি সকলেই জানেন যে ভারতে সম্প্রতি নতুন 3টি ত্রুজার মোটরসাইকেল লঞ্চ হয়েছে।
বাজাজ-ট্রায়াম্ফ স্পিড 400, স্ক্র্য়াম্বলার 400X এবং আরেকটি হারলে-ডেভিডসন X440। নতুন মোটর সাইকেল প্রসঙ্গে বাজাজ অটো-এর সিইও কিছুদিন আগে মন্তব্য করেন, রয়্যাল এনফিল্ড এমন এক সেগমেন্টে রয়েছে যেখানে সবথেকে বেশি ক্রেতার ভিড়। তিনি আমেরিকার এক চোরের উদাহরণ দেন।
তিনি বলেন, ওই চোরকে যখন প্রশ্ন করা হয় তিনি ব্যাঙ্ক ডাকাতি কেন করেন, তার উত্তরে তিনি বলেন কারণ এখানেই তো টাকা রয়েছে। এই উদাহরণ টেনে বাজাজ অটোর সিইও বলেন যেহেতু এই ক্ষেত্রে বেশি জনপ্রিয়তা রয়েছে তাই আমাদের ব্যাঙ্ক লুট (সেগমেন্ট) করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
অন্যদিকে মার্কিন সংস্থা হারলে-ডেভিডসনের সঙ্গে জুটি বেধে নতুন মোটরসাইকেল হাজির করেছে হিরো মটোকর্প। নেট মাধ্যমে অনেকেরই দাবি, এই দুই মোটরসাইকেলের ফলে রয়্যাল এনফিল্ডের সামনে আগামী দিনে অনেক প্রতিকূলতা আসতে চলেছে।
যার একটা আবঝা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বাইকগুলির বুকিংয়ে। বাজাজের দাবি, ১৭ হাজারের বেশি বুকিং হয়েছে স্পিড 400। হারলে-ডেভিডসনও তাদের বাইকের বুকিং এবং অন-রোড প্রাইজ প্রকাশ করেছে। দুই বাইক নিয়ে যখন তুমুল চর্চা তখন এ সব নিয়ে একেবারেই উদ্বিগ্ন নন রয়্যাল এনফিল্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিড লাল।
তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সম্পর্কে বেশি চিন্তা করি না। প্রতিযোগিতা নিয়েও উদ্বিগ্ন নয় যেমনটা আমাদের প্রতিপক্ষরা হয়ে থাকে। আমরা শুধু গ্রাহকদের কথা ভাবি। আমরা প্রতিপক্ষদের থেকে অনেক ধাপ এগিয়ে।”
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে ২৫০ সিসি বেশি ইঞ্জিনের যে সব বাইক বিক্রি হয় তার মধ্যে ৯০ ভাগ বাজার দখল এনফিল্ডের। অর্থাৎ ২৫০ সিসির বেশি ১০টি বাইকের মধ্যে ৯টি তাদের। এই প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থ লাল বলেন, “মার্কেট শেয়ার কমে যাওয়া আমাদের চিন্তার কারণ নয়। আমাদের কাছে ইতিবাচক বিষয় সামগ্রিক বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে।”