আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জেলে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দুর্নীতি মামলায় গত শনিবার তিন বছরের হাজতবাসের নির্দেশের পরেই ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। রাওয়ালপিণ্ডিতে স্পেশাল সুবিধাযুক্ত জেলে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছিল তাকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অ্যাটক জেলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অটক জেলেই কেন রাখা হল? এখন প্রশ্ন হল, রাওয়ালপিণ্ডির বিশেষ সুবিধাযুক্ত জেল বাদ দিয়ে অ্যাটক জেলেই কেন নিয়ে যাওয়া হল ইমরান খানকে? এমনিতে অ্যাটক আর আদিয়ালা জেল, দুইটাই পাঞ্জাব প্রদেশে। আদিয়ালা জেলে তিনটি শ্রেণিতে বন্দিদের রাখা হয়।
ইমরানকে 'এ' শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। এই শ্রেণিতে কিছু বিশেষ সুবিধা মেলে। দুটি কামরার একটি বড় ব্যারাক থাকে। এই শ্রেণির কয়েদিরা এসি, ফ্রিজ, টিভি পান এবং জেলের খাবার নয়, নিজেদের পছন্দের খাবার খেতে পারেন।
'বি' শ্রেণিতে সাধারণত মারামারি, চুরিতে দোষী সাব্যস্তদের রাখায়। এখানে সুবিধা কম। তবে কয়েদিরা একটি আলাদা ঘর পায়। 'সি' ক্যাটেগরির জেলে রাখা হয় খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্তদের। কোনও স্পেশাল সুবিধা নয়।
পঞ্জাব প্রদেশের ৪২টি জেলায় আদিয়ালা ও বহবলপুরের মতো জেল রয়েছে। যেখানে 'এ' শ্রেণির সুবিধা মেলে। আদিয়ালা জেলেই প্রথমে ইমরানকে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেখানে এসি, ফ্রিজ, টিভি-র মতো সুবিধা পেতেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। শেষ মুহূর্তে ইমরানকে অটক জেলে পাঠানো হয়।
অটক জেলে কোনও স্পেশাল সুবিধা নেই। এই জেলে একটাই শ্রেণি। যেভাবে সাধারণ কয়েদিরা থাকে, সেভাবেই রাখা হয়েছে ইমরানকে। ইমরানের জন্য শুধু একটি ভিভিআইপি সেল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এসি নেই। মাটিতে একটি বিছানা। একটি ফ্যান রয়েছে। ওই ঘরেই শৌচকর্ম সারতে হবে ইমরানকে।
উল্লেখ্য, ১৯০৫-০৬ সালে অটক জেল তৈরি করা হয়েছিল। ৬৭ একর জমিতে তৈরি এই জেলে স্বাধীনতা সংগ্রামী বা ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের রাখা হত। ষোড়ষ শতকে মুঘল বাদশা আকবর সিন্ধু নদীর ধারে একটি কেল্লা বানিয়েছিলেন। এই জেল থেকে সেই কেল্লা ২০ কিমি দূরে। অটক জেলে ৫৩৯ জন কয়েদিকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।