আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যখন কোনো স্বজন মারা যায় তখন শোকে কাতর হয় মানুষ। গোটা পরিবারে নেমে আসে পাহাড়সম শোক। পড়শিদের মধ্যেও শোক নেমে আসে।
কিন্তু কখনো কি শুনেছেন কোনো আত্মীয় বা পড়শির মৃত্যুতে পরিবারের লোক বা পড়শিরা হাসে, আনন্দে মেতে উঠেন! শুধু তাই নয়, মৃত্যুর ‘শোক’ পালন করতে নাচ-গানেরও ব্যবস্থা করা হয়!
হ্যাঁ, এমনটি হয় ভারতের উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের একটি গ্রামে। আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
ওই গ্রামে ৬৫ বছর বয়সে কেউ যদি মারা যায়, পরিবারের লোকেরা শোকে ভেঙে পড়ার পরিবর্তে গান-বাজনার আয়োজন করে। মৃত ব্যক্তিকে দেখতে আসা সব মানুষকে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
আবির খেলা হয়। এসব শেষে গান বাজাতে বাজাতে শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় মরদেহ। এখানেই শেষ নয়, মরদেহ কাঁধে নিয়ে গানের তালে তালে নাচতে থাকেন তারা। এ অদ্ভুত রেওয়াজ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে ওই গ্রামে।
কেন এই রীতি? গ্রামবাসীরা জানান, খুব অল্প বয়সে এ গ্রামের লোকদের বিয়ে হয়ে যায়। বৃদ্ধাবস্থায় পৌঁছতে পৌঁছতে তিন চারটে প্রজন্ম দেখে ফেলেন।
বাসিন্দাদের ধারণা, এতগুলো প্রজন্ম জীবিত অবস্থায় দেখা এবং তাদের সঙ্গে সময় কাটানো একটা গর্বের বিষয়, সৌভাগ্যও বটে!
তাদের ধারণা, এ ধরনের লোকদের নাকি সরাসরি স্বর্গলাভ হয়! তাই এদের মৃত্যুতে পরিবারের লোকেরা শোকে ভেঙে পড়ার পরিবর্তে আনন্দে মেতে ওঠেন।
২ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম