এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : পিতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বক্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেন পাকিস্তানের সদ্যবিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি।
তার পিতা আসিফ আলি জারদারি শুমারি শেষে পার্লামেন্টের আসন পুনর্বিন্যাসের পক্ষে সায় দেওয়ার পর তিনি বললেন, তার পিতার ওই বক্তব্য একান্তই তার ব্যক্তিগত। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত নয়। আসিফ আলি জারদারি তার বক্তব্যে কী বোঝাতে চেয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি তার কাছেই জানতে পরামর্শ দেন সাংবাদিকদের। খবর জিও নিউজ।
আসিফ আলি জারদারি এর আগে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনকে সমর্থন করে বক্তব্য দেন। কারণ, নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুমারি শেষে পার্লামেন্টের আসন পুনর্বিন্যাস করা হবে। তারপরই নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটা বাধ্যতামূলক।
তবে ২৫শে আগস্ট পিপিপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটি (সিইসি) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা জানিয়ে দেয়, সংবিধানের অধীনে ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
কিন্তু আসন পুনর্বিন্যাস করতে হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন চলে যেতে পারে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে। এ অবস্থায় পিতা আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে মতবিরোধ প্রকাশ করলেন বিলওয়াল। তিনি শনিবার সংবাদ সম্মেলন করছিলেন। সেখানে সাংবাদিকরা তার কাছে তার পিতার সঙ্গে নির্বাচনের সময় নিয়ে মতবিরোধ সম্পর্কে জানতে চান।
পিপিপির সিইসি মিটিংয়ের কথা স্মরণ করেন বিলওয়াল। তার ও তার পিতার নেতৃত্বে ওই মিটিং হয়েছিল। সেখানে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের আইনি বিশেষজ্ঞদের বিষয়ে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে।
বিলওয়াল বলেন, আমাদের পারিবারিক বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারিকে অনুসরণ করতে বাধ্য আমি। তবে রাজনীতিতে, সংবিধান এবং দলীয় পলিসির বিষয়ে নয়। আমার কর্মীদের অনুসরণ করতে বাধ্য আমি। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য।
শনিবারই আসিফ আলি জারদারির বার্তা পিপিপির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সংবিধান অনুসরণ না করে ৯০ দিনের বাইরে গিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সমর্থন দেন তিনি।
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিসহ পিপিপির অনেক নেতা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা এবং ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান। এরপরই আসিফ আলি জারদারি ওই মন্তব্য করেন।